কখনও কাফনের কাপড়ে শরীর মুড়ে, কখনও আবার ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ বা ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার চাই’ এমন সব ব্যানার নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতেন তিনি।প্রায় প্রতিদিন ভোরে বিএনপি কার্যালয় এলাকায় আসতেন রিজভী হাওলাদার। সন্ধ্যার পর আবার নারায়ণগঞ্জ ফিরে যেতেন।দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার চিকিৎসার জন্য কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসাপাতালে যান রিজভী। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যেতে বলা হয়। ঢামেক থেকে তিনি নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আসছিলেন। কার্যালয়ের সামনে এসে রিকশা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তার।

শায়রুল কবির বলেন, রিজভী ইন্তেকাল করেছেন। আমি ওকে অনেক আদর করতাম। মৃত্যুর সংবাদ শুনে খুব খারাপ লাগছে। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন।

রাত দেড়টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে রিজভী হাওলাদারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে রাতেই তার লাশ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।

রিজভী হাওলাদারের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ছোট্টকান্দা গ্রামে। তার বাবার নাম আজহার হাওলাদার। নারায়ণগঞ্জের কুতুবপুরে থাকেন তিনি। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।