নতুন আলো অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট:: দুই বছরের বেশি সময় ধরে আন্দোলন, তর্ক-বিতর্কের পর অবশেষে আজ ৩১ জানুয়ারিতে কার্যকর হতে চলেছে বহুল আলোচিত ব্রেক্সিট। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট চুক্তি পাশ হয়েছে। এ বিষয়ক চুক্তি করেছে ইইউ ও যুক্তরাজ্য। ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ইস্যুতে কিছুটা হলেও চিন্তিত দুই পক্ষই। অন্যদিকে বেক্সিটের পর নিজেদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে অন্যান্য দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ক আলোচনা করছে যুক্তরাজ্য সরকার।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে দুই বছরের বেশি সময় ধরে নানা আলোচনা তর্ক-বিতর্ক ও আন্দোলন। অবশেষে আজ ৩১ জানুয়ারিতে এর চূড়ান্ত ফল পেতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র স্টিফেন দে কারস্মিকার বলেন, ব্রেক্সিট কার্যকরের আগেই সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবেলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
অনেক বাধা পেরিয়ে কার্যকর হচ্ছে বহুল আলোচিত ব্রেক্সিট। ইইউ ও যুক্তরাজ্যের বাসিন্দাদের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখবে এ চুক্তি। ব্রেক্সিটের পরও দুই পক্ষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্র এরিক ম্যামার।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ব্রেক্সিট সমন্বয়ক গাই ভেরোফসতাদ বলেন, ব্রেক্সিট পরবর্তী সম্পর্ক নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত দুই পক্ষ। তবে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশ আত্মবিশ্বাসী ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমনটাই জানান ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ব্রেক্সিট সমন্বয়ক।
ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ল্যাগার্দে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্রেক্সিটের বিকল্প নেই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই চুক্তি কার্যকর হবে। পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত জরৌ জানান দিলেন ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ।
ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যের সাথে সম্পর্ক কী ধরনের হবে- তা এখনি নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। বাণিজ্য ও সীমান্ত ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নিতে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত আলোচনার সুযোগ থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভ ম্যানিউচিন বলেন, ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যের জন্য উন্মুক্ত হবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পথ। তাই তাদের সাথে বাণিজ্য চুক্তির চেষ্টা করছে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য আলোচনা শুরু হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সাথেও আলোচনায় বসবে ট্রাম্প প্রশাসন। দুই পক্ষের সাথেই বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আমরা আশাবাদী।
জার্মানির অর্থমন্ত্রী ওলাফ শোলজ বলেন, ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যের সাথে আমাদের বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকবে। প্রয়োজনে বাণিজ্যের নতুন মডেল তৈরি হবে। লন্ডনের সঙ্গে পৃথক বাণিজ্য চুক্তিও হতে পারে।
শেষ সময়েও আন্দোলনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ব্রেক্সিট বিরোধীরা।