নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের তেলিকোনা গ্রাম ও দিরাই উপজেলার হুসেনপুর নোয়াপাড়া গ্রামের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নিরীহ অসহায়দের উপর হামলা হয়। আজ দুপুর ১২ ঘটিকার সময় তেলিকোনা গ্রামের নাজিম উদ্দিন,ফজরুল গংদের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রসস্র সহ রণ সাজে সজ্জিত হয়ে নৌকা যোগে নদী পাড়ি দিয়ে দিরাই উপজেলার ৭নং জগদল ইউনিয়নের হোসেনপুর নোয়াপাড়া গ্রামের নিরীহ অসহায়দের উপর হামলাও বাড়িঘর ভাংচুর করে। হামলা কালে নারী সহ আহত হন অর্ধশতাধিক। হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তাড়াহুড়ো করে তাদের নৌকা ডুবে যায়,এসময় পার্শ্ববর্তী কান্দারগাঁও-নোয়াগাঁও গ্রামে এর শালিসি ব্যক্তিবর্গ নৌকাও হামলাকারী ৯জন লোককে প্রাণ রক্ষা করে তাদের হেফাজতে নিয়ে গিয়ে এলাকাবাসীও দিরাই-জগন্নাথপুর থানার পুলিশ সহ উভয়ের সর্বসম্মতি ক্রমে জগন্নাথপুর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
আহতরা হলেন,হোসেনপুর নোয়াপাড়া গ্রামের হবুর মিয়া,মবুর মিয়া,আইনুদ্দিন,কামাল,মনু, জুনেদ,রাদিক,শাকির,আকমল,আবুল হুসেন,জাহির আলম,রুবেল,সুহেল,তোফাহেল, জামাল,আমির উদ্দিন, শাহেরা বেগম, জেসমিন,লেবন বেগম সহ আরো অনেকেই,তাদেরকে দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়।
আহতের মধ্যে হবুর মিয়া,মবুর মিয়া,আইন উদ্দিন ও কামাল মিয়া’কে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসতাপালে পাঠানো হয়।
হোসেনপুর নোয়াপাড়া গ্রামের প্রবীন মুরব্বি জামাল মিয়া বলেন,আমরা খুব অসহায় মানুষ। আমাদের নুন আনতে পান্তা পুড়ায়। পার্শ্ববর্তী তেলিকোনা গ্রামের লোকজন আজ আমাদের উপর অতর্কিত হামলাও ভাংচুর চালায়, প্রতিবাদ করতে গেলে তারা নারীসহ অর্ধশতাধিক আহত করে, তার জন্য আমি আইনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবী করি।
দিরাই থানার এস আই, রুপক কর্মকার বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে এলাকাবাসীর হেফাজতে থাকা নৌকাও ৯জন লোককে জগন্নাথপুর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।