সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু বালাগঞ্জ থেকে::
জানাযায় গতকাল (২৬ জুলাই) রবিবার সকাল ১১:৩০ ঘটিকার দিকে পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের আজিজ পুর গ্রামের মৃত মুহিবুর রহমানের ছেলে শরিফ মিয়া (২৪) ও কামরুল মিয়া (২২), পার্শ্ববর্তী দেওয়ান বাজার ইউনিয়নের বশির পুর গ্রামের মৃত আলম এর ছেলে মোঃ ফয়েজ (৩০) কে তালতলা বাজার থেকে জরুরী কাজের কথা বলে তাদের বাড়িতে নিয়ে দরজা বন্ধ করে হাত-পা বেঁধে মারধর করে এবং লেহার কাঁচি আগুনে পুড়ে গোপনাঙ্গ সহ শরীরের একাধিক স্থানে আঘাত করে চালানো হয় নির্মম নির্যাতন।
নির্যাতনের একপর্যায়ে ফয়েজ মিয়া জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মৃত ভেবে ঘরের দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে নির্যাতিত ব্যক্তির পরিচিত মীর শানুর মিয়া, খন্দকার বোরু মিয়া, সিতার আলী, নজির মিয়া উনারা তাকে উদ্ধার করেন এবং দেওয়ান বাজার ইউপি’র ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য খন্দকার আব্দুর রকিবও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাত্ক্ষনাত তাকে বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঠানো হয়, সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর পেয়ে বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী আতাউর রহমানের নির্দেশে পুলিশের একটি দল এসে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এব্যাপারে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ফয়েজ এর সাথে থাকা তার মা দিলারা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন আমার ছেলেকে তারা হত্যা করতে চেয়েছিল, আমার ছেলে গরু- ছাগলের ব্যবসা করে, ঘটনার সময় আমার ছেলের সাথে থাকা নগদ তেইশ হাজার টাকাও তারা নিয়েছে। চিকিৎসাধীন ফয়েজের চাচাতো ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এখনো তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। এব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
এদিকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় ছাগল চুরির মিথ্যা অভিযোগে’ নিরিহ ফয়েজের ওপর অমানবিক নির্যাতনকারী দের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এবং এই অমানবিক ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার গাজী আতাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে এবং সিগ্রই আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।