ডেস্ক রিপোর্ট:এখন থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সে যারা লন্ডন থেকে সিলেট আসবেন তাদেরকে ঢাকায় ইমিগ্রেশন করে সেখানেই তাদের ব্যাগেজ ক্লেইম করতে হবে এবং ঢাকা থেকে আবার নতুন করে বডিং পাস্ নিয়ে সিলেটে আসতে হবে।
শনিবার (২৫ জুলাই) বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স এক নোটিশে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিমানের এমন সিদ্ধান্তে লন্ডন প্রবাসী সিলেটিদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল হেলাল খান বলেন, বিমানের এই সিদ্ধাম্ত গ্রহনকারীরা জুলুম এবং নিপীড়ন মূলক মানষিকতা থেকে এ কাজটি করছেন? নিঃসন্দেহে এটি একটি চরম সিলেট বিদ্বেষী আচরণ। তিনি বলেন সমাজের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রবাসীদের সাথে বিমানের এই অমানবিকতার বন্ধ করতে সিলেট বিদ্বেষী দুনীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এক সাথে l
জালালাবাদ বিপ্লবী পরিষদ যুক্তরাজ্যের সভাপতি এডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠান করার যে উদ্যোগ গ্রহন করেছেন তা ব্যাহত করতে বিমানের একটি চক্র এই কাজটি করেছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে লন্ডন প্রবাসী সিলেটিরা বিমানকে বাদ দিয়ে অনেক কম ফেয়ারে অন্য এয়ার লাইন্সে ভ্রমন করতে বাধ্য হবে। আর তখন বিমান এই রুটে লোকসানের মুখোমুখি হবে।
তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় চ্যানেল ৩০ আয়োজনে :: ঢাকায় কেন ইমিগ্রেশন ও লাগেজ দাবি করতে হবে ?
টকশোর মধ্যে উপস্থিত কমিউনিটি ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সুজাতুর রেজা,সৈয়দ জমশেদ আলী,ছায়াদুর রহমান, মির্জা জুয়েল আমিন ও নুরুল ইসলাম মধু তাদের বক্তব্যে এধরনের হটকারি সিদ্ধান্ত থেকে বিমান কর্তৃপক্ষ ফিরে এসে লন্ডন টু সিলেট ফ্লাইট শুরু করবে নতুবা সর্বস্তরের সিলেট বাসীকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স কে বয়কট করার কথা বলেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতরা লন্ডনে হাইকমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তারা এ সিদ্ধান্তের পরিবর্তন চেয়েছেন। দাবি জানিয়েছেন প্রয়োজনে সিলেটে আইসোলেশন সেন্টার করার, তবুও তাদের ইমিগ্রেশন যেন সিলেটে হয় এবং লাগেজ যেন সিলেটই যায়। করোনা ঠেকাতে ঢাকার নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশ নাগরিকদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বাংলাদেশ হাইকমিশনের তরফে জানানো হয় তারা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা বলছেন, সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে তারা জানার চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে কমিউনিটিকেও বিষয় অনুধাবনের অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, করোনা বিষয়ক সরকারি বেশ কিছু সিদ্ধান্তে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে তারা অবহিত। যতটা সম্ভব তা শিথিল করার চিন্তায় এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বৃটিশদের কষ্ট লাঘবে পুরো বিষয়টি পর্যালোচনার মধ্যে রয়েছে।
এদিকে এই খবরে সিলেটের মানুষও যার পর নেই মর্মাহত হয়েছেন। তারা বলছেন যেখানে সিলেট-লন্ডন বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু হবার কথা ছিলো জুলাই মাসের শুরুতে। সেখানে এ ধরনের সিদ্ধান্ত মোটেই গ্রহন যোগ্য নয়। তারা এ ব্যাপরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।