সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু সিলেট থেকে::
বালাগঞ্জের ৪নং পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রামের মৃত মুহিবুর রহমানের ছেলে কামরুল মিয়া (২৩) ও তার ভাই শরীফ মিয়া (২৭) মিলে পার্শ্ববর্তী গ্রামে বসবাসরত ছাগল ব্যবসায়ী ফয়েজ মিয়া(২৮) কে স্থানীয় তালতলা বাজার থেকে তুলে আজিজপুরস্থ তাদের বসত ঘরে নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্মম নির্যাতন করে।
জানা যায় সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার মানিক টিলা গ্রামের মৃত সাইফুল আলম আলমের ছেলে দীর্ঘদিন থেকে তার নানার বাড়ি বালাগঞ্জ থানার বশির পুর গ্রামের মৃত কাদির মিয়ার বাড়িতে বসবাস করত এবং ছাগলের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করিয়া আসিয়াছে।
সম্প্রতি এলাকাবাসী ও থানার মামলা সূত্রে জানাযায় প্রায় দুই মাস পূর্বে ফয়েজ মিয়ার নিকট থেকে কালো রঙের একটি ছাগল ৬০০০/- হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন পার্শ্ববর্তী আজিজ পুর গ্রামের মৃত মুহিবুর রহমানের ছেলে কামরুল মিয়া, ছাগল টি লালন পালন করিয়া আসাবস্তায় কামরুল মিয়ার বাড়ি হইতে ছাগল টি হারিয়ে যায়।
পরবর্তীতে গত ২৬ জুলাই সকাল অনুমান ০৯:৩০ ঘটিকার দিকে ফয়েজ মিয়া স্থানীয় তালতলা বাজার গেলে কামরুল মিয়া ও শরীফ মিয়া তাকে বলে তাহার নিকট থেকে ক্রয়কৃত ছাগল টি তাদের বাড়ি হইতে নিয়ে এসেছে বলে।
ফয়েজ মিয়া তাদের কথার প্রতিবাদ করিলে কামরুল ও শরীফ ফয়েজ কে জাপটে ধরে আজিজ পুরস্থ তাদের বাড়িতে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করিয়া হাত-পা বাঁধিয়া তার সাথে থাকা নগদ ৩০,০০০/- (ত্রিশ) হাজার টাকা নেয় এবং ছাগল নেওয়ার স্বীকারোক্তি আদায়ের লক্ষ্যে কারেন্টর তার দিয়ে ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করে। কাচি আগুনে পুড়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং পুরুষাঙ্গে ছ্যাঁকা দিতে থাকে, তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে অজ্ঞান অবস্থায় ফয়েজ কে উদ্ধার করে প্রথমে বালাগঞ্জ উপজেলা হসপিটালে, পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে নির্যাতিত ফয়েজের মা দিলারা বেগম বাদী হয়ে বালাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী আতাউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন পুলিশ আসামি ধরতে তৎপর রয়েছে।
এ বিষয়ে পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মধু’র সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি কোরেন্টাইনে আছি তবে বিষয়টি আমি লোক মুখে শুনেছি, তিনি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উক্ত বিষয়ে পশ্চিম গৌরিপুর ইউনিয়নের অত্র এলাকার ইউ পি সদস্য মোঃ ফজির আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি তিনি শুনেছেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও জেনেছেন, তিনি এই জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অপরাধী দের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে ফয়েজ এর ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আজ সকালে তালতলা-বশির পুর গ্রামে (৩০জুলাই) এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাকারী সন্ত্রাসী শরীফ ও কামরুল কে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন দেওয়ান বাজার ইউপির সাবেক সদস্য খন্দকার আব্দুল হাই কমলা, খন্দকার আব্দুল বাসিত কালা, দেওয়ান বাজার ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য খন্দকার আব্দুর রকিব, যুবলীগ নেতা খন্দকার সালে আহমদ, মোঃআব্দুলাহ মাষ্টার, প্রফেসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, মীর সানুর মিয়া, সামছউদ্দিন শামু, সুমন মিয়া, খালেদ আহমদ, খন্দকার রেজওয়ান, রাজা চৌধুরী প্রমুখ।