নেতার হাতা নইতো ভোঁতা
নেতার সাথে থাকি,
ইয়েস স্যার বলে বলেই
নেতায় দেই ফাঁকি।
আমার নেতা মাথার ছাতা
মাথায় সদা ধরি ,
রোদ বাদলা ঝড়ের দিনে
নেতার সাথে ঘুরি।
নেতার পাশে ছবিও তুলি
ফেস বুকেও ছাড়ি,
নেতার নাম বলেই সদা
কামাই কাঁড়ি কাঁড়ি।
নেতা যখন বলে তখন
নেতার দিকে মন,
ইয়েস স্যার বলতে থাকি
সদাই সর্বক্ষণ।
নেতার সাথে বসেই রাখি
সবার দিকে মন,
হঠাৎ নেতা হুমড়ি খেলে
ধরবো অন্য জন।
টেন্ডার বাজি চাঁদা বাজির
লিডার আমি হায়,
মানুষ আসে মানুষ যায়
দোয়া সবাই চায়।
উপ নেতার সাথে যখন
পাতি নেতাও আসে,
ডবল করে সালাম দিয়ে
দাড়াই গিয়ে পাশে।
উপ পাতির নেতা হওয়া
কোন বিষয় নয়,
আসল নেতা পিছলে গেলে
এরাই নেতা হয়।
আমি হলাম নেতার হাতা
সব খানেতে থাকি,
ষোল আনার নেতার কাছে
ষোল আনাই ফাঁকি।
কবি পরিচিতি:
মুহাম্মদ জুবায়ের
পিতা: মরহুম মীর্জা আবদুর রশীদ।
মাতা: মরহুমা জেবউন্নিসা
জন্ম:১৯ শে মে
একজন অবসর প্রাপ্ত ব্যাংকার।প্রিয় জিনিস কবিতা লেখা। ছোট গল্পও লিখেছেন প্রচুর।উপন্যাসও লিখেছেন।প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন।দুইটি উপন্যাস এবং একটি কবিতার বই।স্ত্রী শারমিন আক্তার পুরোপুরি গৃহিনী।দুই সন্তানের জনক।জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লেখালেখি চালিয়ে যাবার ইচ্ছা।