কৃষকের মাথায় হাত, জগন্নাথপুরের সবকটি হাওর তলিয়ে গেছে
১ min read
নতুন আলো নিউজ ডেস্ক : গত কয়েকদিনের অব্যাহত বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার নলুয়া, মইয়ার ও পিংলার হাওরসহ বিভিন্ন হাওরে জলাবদ্ধতায় প্রায় ৩০০/৪০০ একর জমির ফসল তলিয়ে গেছে পানির নিচে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিজেদের চোখের সামনে জমিতে উৎপাদিত বোরো ধান হারিয়ে হাওর পাড়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন কৃষকরা। তারা আহাজারি করে বলছেন, গত বছরও বন্যায় হাওর তলিয়ে যাওয়ায় ধান পাইনি। এবার ও ধান তুলতে পারবনা , মুখের খাবার পানিতে তলিয়ে গেছে। পরিবারের লোকজনদের নিয়ে কি খাব বুঝতে পারছি না। কৃষকদের এমন আহাজারি দেখে উপস্থিত কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে আমাদের কষ্টার্জিত সোনার ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। তারা যথা সময়ে বেড়িবাঁধে কাজ করলে এভাবে হাওর তলিয়ে যেত না। তারা আরো বলেন, বিগত বছরও একই ভাবে পাকা-আধাপাকা ধান তলিয়ে গেলেও এবার থোড় ধান তলিয়ে গেছে। যার ক্ষতি পূরণ হওয়ার নয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, এবার জগন্নাথপুরে লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছিল । কিন্তু হাওর গুলো তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বিগত বছরও কৃষকরা তাদের কষ্টের ফসল গোলায় তুলতে পারেননি। বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে ছিল। এবারো অনেক জমির ধান তলিয়ে গেছে।
জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন বন্যার পানিতে হাওর তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, আমি তাদের কৃষকদের ক্ষতি পূরণের জন্য যথাযত কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরব।