বড়লেখি প্রতিনিধি:–
রাহেনা বেগম হাসনা একজন সফল সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠক,জনপ্রতিনিধি,আপামর জনতার অতি প্রিয় এবং আপনজন।নেতৃত্বের গুণাবলী সকল মানুষের মধ্যে সমভাবে থাকেনা।কিছু কিছু মানুষ আপন প্রতিভা ও প্রচেষ্টায় নিজেকে নিয়ে যেতে সক্ষম হন,তার কাংখিত উচ্চতায়।
এরা সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করে চলেন আপন গন্তব্যে।যারা মানুষের ভালাবাসা ও সহানুভূতি অর্জন করেন তাদের সম্মোহনি নেতৃত্বের যাদুর বলে।যুগ যুগ ধরে এরা মানুষের হৃদয় সিংহাসনে অধিষ্ঠিত থাকেন।তেমনি একজন বিরল প্রতিভার অধিকারীনি বড়লেখা উপজেলা পরিষদের টানা তিন বারের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম হাসনা।
ছাত্রজীবন থেকেই তার নেতৃত্বের গুনাবলীর বহিঃপ্রকাশ ঘটে,তিনি যখন বড়লেখা ডিগ্রী কলেজে অধ্যয়নরত,তৎকালীন সময়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচীতে সক্রিয় অংশগ্রহনের মাধ্যমে।এরপর জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এবং বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট এর নেতৃত্বেও আসেন।ছিলেন বড়লেখা পৌরসভার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত কমিশনার। বড়লেখার অন্যতম বিদ্যাপীঠ গাংকুল পঞ্চগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা।অসাধারণ সাংগঠনিক দক্ষতার অধিকারী একজন রাজনীতিক রাহেনা বেগম হাসনা দলের দুঃসময় ও সুসময়ে সমভাবে সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।একজন মহিলা হয়েও রাজনীতি করতে গিয়ে,রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে মামলা ও হুলিয়া মাথায় নিয়ে রাজপথে থেকেছেন।
#বড়লেখার মানুষের হৃদয় জয়করা রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধি রাহেনা বেগম হাসনার রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ড এক নজরেঃ
একজন উচ্চ শিক্ষিত নারী নেতৃত্বের পথিকৃৎ রাহেনা বেগম হাসনা, পেশাগত জীবনে শিক্ষকতা করতেন।একজন সফল গৃহীনিও বটে।রাজনীতি,সংসার পেশা সবই সামাল দিয়েছেন অত্যন্ত সুনিপুনভাবে।
তার জনপ্রতিনিধি হিসেবে আত্মপ্রকাশ বড়লেখা পৌরসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কমিশনার নির্বাচনের মধ্যদিয়ে।এ দায়িত্ব পালন করেন,২০০১ খ্রিঃ হতে ২০০৯ খ্রিঃ পর্যন্ত।এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
২০০৯ খ্রিঃ বড়লেখা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম বারের মতো নির্বাচন করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।তার প্রাপ্ত ভোট ৪৬,৩৬০ অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোট প্রার্থীর প্রপ্ত ভোট ২৪১৭৭।
২০১৪ খ্রিঃ দ্বিতীয় বারের মতো জনতার ভালবাসায় সিক্ত রাহেনা বেগম হাসনা পুনরায় বিপুল ভোটে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।এবারো তার প্রতিদ্বন্দ্বী যথারীতি মহাজোট প্রার্থী এবং ভোটের ব্যধানও বিশাল।তার প্রাপ্ত ভোট ৫৪,২০৭ অন্যদিকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রাপ্ত ভোট ২৮১৫৪।সর্বশেষ ২০১৯ খ্রিঃ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বৈরী নির্বাচনী পরিবেশেও বিপুল ভোটে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন।
রাহেনা বেগম হাসনা তার দায়িত্বকালীন ২০১১ সালে উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ২০১৩ সালে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন।১৯৯৩ সনে বড়লেখা ডিগ্রী কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন তুখোড় নেত্রী ছিলেন। তৎকালীন কলেজ ছাত্রদলের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকার দায়িত্ব পালন করেন।
২০০০ খ্রিঃ সিলেট এম সি কলেজে অধ্যয়নকালীন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে অগ্রগণ্য ছিলেন।তিনি সিলেট “ল” কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের ব্যানারে ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা পদে প্রার্থী ছিলেন,যদিও নির্বাচনটি স্থগিত হয়ে যায়।
তার রাজননৈতিক ক্যারিয়ারে অন্যান্য দায়িত্বের মধ্যে ২০০৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বড়লেখা উপজেলা শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা পদে ছিলেন।
২০১২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সহ-সম্পাদিকা পদে ছিলেন।
২০১৬ খ্রিঃ গঠিত বড়লেখা পৌর বিএনপির কমিটিতে সাধারণ সম্পাদিকা হিসেবে নির্বাচিত হন।২০১৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভানেত্রী পদে কমিটি দাখিল,যা এখনো কার্যকর হয়নি।
এ ছাড়াও ২০১৭ সালে তিনি জেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মনোনীত হন।বহু আন্দোলন-সংগ্রামের সম্মুখ সারির যোদ্ধা রাহেনা বেগম হাসনা ২০১৫ সালে রাজননৈতিক প্রতিহিংসার মামলায় আসামীর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন।এমন একজন সফল সংগঠক,রাজনীতিক ও সামাজিক কর্মী রাহেনা বেগম হাসনা বড়লেখায় আছেন,সেটা বড়লেখাবাসীর নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়।আমরা জানি জনপ্রতিনিধিরা একবার নির্বাচিত হলে পরের বার জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে।মানুষের আস্থায় নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না।সে ক্ষেত্রে রাহেনা বেগম হাসনা ব্যতিক্রম এবং বিরল জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিক। আপনার মতো জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিক বার বার জন্ম নিক এই বড়লেখায় এ প্রত্যাশা।