নীলকষ্ট
জুনায়েদ খন্দকার নীর
★★★★★★★★★★
মেঘের পাহাড়ে গিয়েছো কি তুমি কখনো!
মেঘের পরে মেঘ ভেসে আসে,
একটু ছোঁয়াতে মন যে ওঠে হেসে।
শীতল উষ্ণতার পরশ বুলিয়ে,
কুয়াশার চাঁদর পড়িয়ে দেয় হালকা রেষে।
দূর হতে দূরে ভাসতে থাকে নীল মেঘ গুলো ঐ নীল আকাশে।
কখনো শুভ্র,কখনো কালো মেঘে ঢাকা
শুভ্র সাদা নীল মেঘ।।
ঐ নীল আকাশে কান পেতে শুনেছো কি কখনো!
কতোটা কষ্ট জমিয়ে রাখে স্তরে স্তরে,
নীল মেঘ গুলো বর্ষণ হয়ে ঝড়তে থাকে অঝড়ে।
থমথমে আকাশ কাঁপতে থাকে থর থর করে,
ভিজিয়ে দিতে চায় পুরো পৃথিবী বলয় জুড়ে।
জীবন যদি কখনো হয়ে ওঠে কষ্টের পাহাড়,
সেখানে আচড়ে পড়ে নীল মেঘে ঢাকা
কিছুটা শুভ্র,
হাজারো জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়া
শতদলে ভাসতে ভাসতে আসা নীলাচলের নীলকষ্ট।
চঁদের বুড়ি এখনো গুটিয়ে যাচ্ছে সুঁতো,
মেঘের পরে লুকিয়ে থাকবে গো আর কতো!
আমার কষ্ট গুলো কি পারোনা তুমি নিতে,
জমে থাকা হৃদয় আকাশের নীল মেঘ হতে।
নির্দয় নিষ্ঠুর হয়েছো তুমি এতো কিসে!
জীবন ভরে উঠেছে অসহনীয় যন্ত্রনার তীব্র বিষে।
যন্ত্রনা গুলো ক্ষত হয়ে আছে মোর সাথে মিশে,
তুমি কি পারোনা দূর করে দিতে গো এক নিমিষে!
ছুটে চলেছি দূর হতে দূর বহুদূরে,
ঐ মেঘের পাহাড়ের উচু নিচু পথ ধরে।
বর্ষণ হয়ে ঝড়ে দিতে আসি তোমার কাছে ছুটে,
ঝুম বৃষ্টির পরে আকাশ হয় যেমন ফুটফুটে।
এতো পথ এসে কি হয়েছি গো আমি পথভ্রষ্ট,
দাওনা ঝড়িয়ে হৃদয় আকাশে জমিয়ে রাখা সব নীলকষ্ট।।
কবি পরিচিতি
———————
আমি জুনায়েদ খন্দকার নীর
বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার কানাইকান্দর গ্রামে জন্ম।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারী আযিযুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে স্নাতক সন্মান ডিগ্রী অর্জন করি অর্থনীতিতে।
একই প্রতিষ্ঠানের অধীনে বর্তমানে স্নাতোকোত্তর করছি অর্থনীতিতে।