সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু সিলেট প্রতিনিধি:সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগের ৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শাহ মাহবুবুর রহমান রণি, একই শ্রেণীর ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাছুম, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা অর্জুন লস্কর এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তারেক।
লিখিত এজাহারে ৬ জনকে সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অন্য ৩ জনের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়।
এবিষয়ে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী জানান, এই ঘটনায় শাহপরাণ থানায় ৬ জনকে সরাসরি অভিযুক্ত করে ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ রাতেই অভিযান শুরু করেছে শনিবার সকাল ১১:৩০ ঘটিকা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায় নি তবে অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে যান ধর্ষণের শিকার স্ত্রী ও তার স্বামী। রাত ৯ টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী স্বামীকে মারধর করে স্ত্রীকে ছিনিয়ে ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। পরে স্বামী তাদের পিছু পিছু গেলে তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ৫ থেকে ৬ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী গণধর্ষণ করে।
রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পুলিশ কলেজের ছাত্রাবাস এলাকা থেকে ধর্ষণের শিকার হওয়া গৃহবধূ ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় কলেজের শিক্ষক, ছাত্র সহ ফুঁসে উঠেছেন গোটা সিলেটবাসী, অনেকে নিজের ফেইসবুক ওয়ালে পোস্ট দিয়ে নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।
মহানগর পুলিশের এডিসি মিডিয়া জ্যোর্তিময় সরকার জানিয়েছেন, খবর পেয়ে শাহপরান থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে উদ্ধার করে।