এম রেজা টুনু সুনামগন্জ থেকে::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওয়ারে বোরোধান আবাদের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও হাওরের অনেক জায়গায় বোরো চাষাবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে। হাওর জলমগ্ন থাকায় এবার বোরো আবাদ করতে পারছেন না। ফলে বোরো আবাদ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন কৃষকরা ।
কৃষকরা জানান,বৃহত্তর নলার হাওয়ারে হামহামি জলমহালের ইজাদাররা মাছ ধরার জন্য ভূরাখালি স্লুইসগেটের বাঁধ দিয়ে রাখায় হাওর থেকে পানি নামতে দিচ্ছে না ইজা দাঁড়রা যার ফলে নির্ধারিত সময়ে বোরো আবাদ করতে না পারায় অনেক জমি অনাবাদি থাকার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভূরাখালি গ্রামের কৃষক আকিক মিয়া জানান, হামহামি জলমহালের ইজারাদাররা মাছ ধরার জন্য বাঁশ ও জাল দিয়ে (খাটি বাঁধ) দিয়ে পানি আটকে রাখায় বোরো চাষাবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে। তিনি বলেন, নলুয়ার হাওরে তাঁর ছয় কেদার (৩০ শতকে এক কেদার) জমি রয়েছে পানি থাকায় চাষাবাদ করতে পারছেন না।
দাসনোওয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা কৃষক নগেন্দ্র দাস জানান, নলুয়ার হাওরে তার চার কেদার জমি রয়েছে। হাওর থেকে পানি না নামায় এবার জমিগুলো অনাবাদি থাকবে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রনধীর দাস জানান, নলুয়ার হাওর জেলার অন্যতম বড় হাওর। এ হাওরে পানি না নামায় চাষাবাদ বিঘ্নিত হচ্ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, নলুয়ার হাওরে সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদ হয়। কিছু অংশে চাষাবাদ বিঘ্নিত হওয়ায় খবর পেয়ে ইজারাদারদেরকে দ্রুত বাঁধ সরাতে বলেছি। তিনি বলেন, এখন চারা রোপনে উপযুক্ত সময়। যদি ইজারদাররা বাঁধ খুলে না দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেব।
হামহামি জলমহালের ইজারাদার উপেন্দ্র দাসের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
এব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, হাওরে বোরো আবাদ যাতে বিঘ্নিত না হয় এবিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।