বিশেষ প্রতিনিধি মজনু মিয়া::সম্প্রতি প্রবাসে বসবাসরত সৈয়দপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্যোগে সৈয়দপুর পাইলট হাইস্কুলের সাবেক দপ্তরী মরহুম মোঃ আব্দুল জলিলের অসহায় পরিবারের ঘর বানানোর জন্য ৭ লক্ষ ১৪ হাজার ৭৪৮ টাকার ফান্ড রাইজিং করা হয়েছে।
Help for Jolil family নামে একটা what’s app group এর মাধ্যমে সৈয়দপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে এ ফান্ড রাইজিং করা হয়। এ ফান্ড রাইজিংয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেন সৈয়দপুর পাইলট হাইস্কুলের সাবেক সিনিয়র শিক্ষক সৈয়দ আব্দুল কাদির, মল্লিক শাকুর ওয়াদুদ, মল্লিক শহীদ মিয়া, মজনু সাবের, সৈয়দ ফাহিমসহ অনেকে। এ ফান্ড রাইজিংয়ে সার্বক্ষণিক নিরলসভাবে কাজ করেছেন সৈয়দ জাবের, অলি আহমদ রুনু, কামরুল ইসলাম, সৈয়দ জামিল, সৈয়দ কামরান, সৈয়দ হুমায়ুনসহ আরো অনেক।
শুধু যুক্তরাজ্য থেকেই নয় যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানে বসবাসরত সৈয়দপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা ফান্ড রাইজিংয়ে শরীক হয়েছেন।
উল্লেখ্য, মোঃ আব্দুল জলিল সৈয়দপুর পাইলট হাইস্কুলে দীর্ঘ ৩৯ বছর দপ্তরী হিসেবে নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন। গত ২৪ মার্চ ২০২০ মোঃ আব্দুল জলিল ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁকে জান্নাতের উচু মাকাম দান করুন আমীন। মরহুম মোঃ আব্দুল জলিলের অসহায় এতিম ৩ মেয়ে, ২ ছেলে ও পরিবারের ঘর নির্মাণের জন্য এ বিরাট ফান্ড রাইজিং করা হলেও পাকা একটি ঘর বানানোর মত নিজস্ব জায়গা না থাকার কারণে সাময়িক সময়ের জন্য ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ সৈয়দপুর বাজার শাখায় গত ২৬ জানুয়ারী ২০২১ মরহুম মোঃ আব্দুল জলিলের স্ত্রীর নামে এবং আব্দুল জলিলের বড় মেয়ে ও বড় ছেলেকে নমিনি করে একটা একাউন্টের মাধ্যমে ঘর বানানোর জন্য ৭ লক্ষ টাকা জমা রাখা নিমিত্তে আনুষ্ঠানিকভাবে আব্দুল জলিলের পরিবারের কাছে Bank draft হস্তান্তর করা হয়েছে।
এবং ১৪ হাজার ৭৪৮ টাকা তাঁর পরিবারের কাছে নগদ দেয়া হয়েছে।
এতে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আতাউর রহমান, সৈয়দপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বি জনাব সৈয়দ মদচ্ছির আলী, সৈয়দপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা নুরুন নাহার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মরহুম মোঃ আব্দুল জলিলের স্ত্রী, বড় মেয়ে ও বড় ছেলে।
সৈয়দপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা নুরুন নাহারের সাথে আলাপ করে জানা যায়, কিছু দিনের মধ্যেই মরহুম মোঃ আব্দুল জলিলের পেনশনের টাকাও তাঁর পরিবারের কাছে আসবে। তাই পেনশনের টাকা দিয়ে একটা ঘর নির্মাণের উপযুক্ত জায়গা কিনে প্রবাসে বসবাসরত সৈয়দপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের দানের এই ৭ লক্ষ টাকা দিয়ে পাকা ঘর বানিয়ে দেয়া হবে।