আদালতে হাজিরা দিতে খালেদা জিয়া
১ min read
নতুন আলো নিউজ ডেস্ক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আবারো সময় পেলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৫ই মে এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা শুনানির জন্য ১৫ই মে দিন ধার্য করেন। গতকাল এ মামলায় হাজিরা দিতে রাজধানীর বকশীবাজারের কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে হাজির হন খালেদা জিয়া। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে হাজির হন তিনি। বিচার কার্যক্রম শেষে দুপুর ১টার দিকে আদালত চত্বর ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গতকাল খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার আদালতকে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি অবহিত করেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, হাইকোর্টে এ মামলার বিষয়ে খালেদা জিয়ার করা একটি আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এ জন্য তিন সপ্তাহ সময়ের প্রয়োজন। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীরা শুনানির সময় বাড়ানোর আবেদনের বিরোধিতা করে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেয়ার আদেশের আবেদন জানান। শুনানি শেষে আদালত ১৫ই মে দিন ধার্য করেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থার আবেদন বিশেষ জজ আদালতে নাকচ হওয়ার পর গত ২৬শে এপ্রিল হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার আগে এ মামলার বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন। পরে খালেদা জিয়ার অনাস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ৮ই মার্চ খালেদা জিয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন। হাইকোর্টের আদেশের পর ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লাকে এ মামলায় বিচারকের দায়িত্ব দেয়া হয়।
মামলার নথিপত্র অনুযায়ী জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে খালেদা জিয়া, তার ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই রমনা থানায় মামলা দায়ের করে দুদক। ২০০৯ সালের ৫ই আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। খালেদা ও তারেক ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।