চীনা সম্মেলনে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রও, একঘরে হয়ে পড়ছে ভারত!
১ min readনতুন আলো নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র এক দিন বাকী কিন্তু চীনের বিশাল আয়োজনে (ওবোর ) সম্মেলনে সম্ভবত যাচ্ছে না ভারত। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এমনটাই খবর। আগামীকাল রোববার বেইজিঙে শুরু হচ্ছে দু’দিনের ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’ (ওবোর) সম্মেলন। তবে ভারতকে হতবাক করে দিয়ে প্রতিবেশী নেপাল এবং ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত যোগ দিচ্ছে। এতে করে ভারত আরেক দফা একঘরে হয়ে পড়লো কিনা তা নিয়ে ভাবছেন বিশ্লেষকেরা।
৬৭টি দেশকে সঙ্গে নিয়ে চীনের এই উদ্যোগ এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপকে একটি বাণিজ্যপথে জুড়ে ফেলার জন্য। এখন পর্যন্ত যা খবর, তাতে ৬৫টি দেশ এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে। অবশ্য বেশির ভাগ দেশই রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানকে পাঠাচ্ছে না। আসব না আসব না করেও, শেষ মুহূর্তে ওবোর সামিটে অংশ নিতে আসছে আমন্ত্রিত আমেরিকা। আমন্ত্রিত হয়ে আসছে ইতালি-ও। ভারত ওবোর-এর অংশ হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সূত্র জানাচ্ছে, নয়াদিল্লি ওই সামিটে অংশ না নেয়ার দিকেই যাচ্ছে।
কিন্তু, এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী?
ওই সূত্রটি জানাচ্ছে, ইদানীং যে ভাবে উপমহাদেশের উন্নয়নে সহায়তার নামে বন্দর, রেল, সড়ক তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে চীন, তা ভারতের পক্ষে বেশ অস্বস্তিদায়ক। কারণ চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের অংশ হিসাবে ওই উদ্যোগের বেশ কাজ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরেও করতে চায় তারা। ভারত এ নিয়ে তার কড়া আপত্তি জানিয়েছে। স্পষ্ট ভাবে তারা জানিয়ে দিয়েছে, ওই অংশটি কোনো ভাবেই পাকিস্তানের নয়, ভারতের। চীনের এই ভূমিকা যে ভারতের না-পসন্দ, তা চোখে আঙুল দিয়ে বোঝাতেই ভারত এই সামিটে অংশ নেবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এ প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে চাননি।
রাশিয়া, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, কাজাখস্তান, শ্রীলঙ্কা তো বটেই ভারতের অস্বস্তি বাড়িয়ে নেপালও যোগ দিচ্ছে সম্মেলনে। তবে চীনের পক্ষে সব থেকে স্বস্তির বিষয়, ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রুট’ সামিটে আমেরিকা বিশেষ এক প্রতিনিধি দল পাঠাবে বলে জানিয়েছে। এর আগে তারা জানিয়েছিল, এই ধরনের কোনো সামিটে তারা অংশ নেবে না। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে গোটা ব্যাপারটায় ইউ-টার্ন নিয়েছে তারা। হোটাইট হাউস এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে চীনে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গোটা বিশ্বে চীন তার নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে চাইছে। সেই উদ্দেশ্যে এশিয়া মহাদেশ তো বটেই আফ্রিকারও বিভিন্ন দেশে পরিকাঠামো-সহ নানা ক্ষেত্রে উন্নয়নে উপুড়হস্ত প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ বছরের শুরুতে পাঁচ ইউরোপীয় দেশ— ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালি চীনা প্রেসিডেন্টের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিল। তবে, এ বার আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে অন্য দেশগুলোর উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ৫ লাখ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে চীন। চিনা প্রশাসনিক সূত্রে এমনটাই খবর।