তিন ক্যাটাগরিতে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজে মাঠে রয়েছে বিএনপি একাধিক টিম
১ min read
আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে অনেক জেলার সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা বিএনপির চেয়ারপার্সনের দফতরে ।
ইতিমধ্যে একাধিক শীর্ষ নেতারমধ্যে অস্থিরতার শুরু হয়ে গেছে ।
নতুন আলো নিউজ ডেস্ক : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিন ক্যাটাগরিতে প্রার্থী বাছাই তালিকার কাজে মাঠে আছে ২০ দলীয় জোটের প্রধান শরিক বিএনপি। যোগ্য, ত্যাগী ও স্থানীয়ভাবে ক্লিন ইমেজ হিসেবে পরিচিত জনপ্রিয় নেতা এবং দলের দুঃসময়ে অতীতে যারা নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন এমন ব্যক্তিদের মূল্যায়ন করতে যাচ্ছে দলটি। বর্তমান তিন ক্যাটাগরিতে প্রার্থী বাছাইয়ে সরাসরি তদারকি করছেন দলের চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
বিএনপির প্রভাবশালী এক শীর্ষ নেতা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, সাবেক আমলাদের দিয়ে একটি তালিকা, ছাত্র নেতাদের দিয়ে একটি তালিকা ও দলের জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের কাছ থেকে প্রতিটি আসনের জন্য যোগ্য তিন জন প্রার্থীর নাম পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এই নেতা জানান, তিনটি তালিকা যাচাই-বাছাই বা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করবে বিএনপি। তিনি বলেন, বিগত দিনে বিএনপি অর্থ-বিত্তদের মনোনয়ন দিলেও এবার তার আকার অনেক ছোট হবে।
দলের চেয়ারপার্সনের প্রার্র্থী বাছাই প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লে.জে. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা তো ইলেকশনে যাব। সে জন্য নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে দল। তিনি বলেন, আমি আশাবাদী ম্যাডাম খালেদা জিয়া যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেবেন।
এদিকে দলটির এক ভাইস-চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তিন সিস্টেমে প্রার্থী বাছাইয়ের কারণে দলের অনেক শীর্ষ নেতার মধ্যে অস্থিরতার কাজ করছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, দলের নেত্রী যেখানে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত, সেখানে প্রতিটি জেলার স্থানীয় নেতাদের মতামতসহ তিনটি তালিকার রিপোর্ট উপস্থাপিত হবে পৃথকভাবে। তালিকাগুলোর রিপোর্ট যদি একজন প্রার্থীর ব্যাপারে একই রকম না আসে, তাহলে অনেক প্রভাবশালী নেতারও মনোনয়নের তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দলটির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক এ ব্যাপারে আমাদের প্রতিনিধি কে বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়া এবারই প্রথম সরাসরি প্রার্থী বাছাইয়ের তালিকার কাজ হাত দিয়েছেন। এটি দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের জন্য সবুজ সংকেত।
অন্যদিকে দলটির এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ইতিমধ্যে জেলা পর্যায়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক প্রতিটি আসনে তিনজন করে যোগ্য প্রার্থীর নামের তালিক প্রায় সব জেলা থেকে চলে গেছে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার দফতরে। যাদের নাম তালিকায় আছে, তাদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া সাবেক আমলা ও সাবেক ছাত্র নেতাদের স্থানীয়ভাবে দুটি টিম সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে জরিপ করছে। তারাও কেন্দ্রে রিপোর্ট পেশ করবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে। দলটির এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিএনপি এবার প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে ক্লিন ইমেজ এবং জনপ্রিয় শিক্ষিত লোকদের ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেবে। তাছাড়া শতকরা ২০ ভাগ আসনে তরুণ ও মেধাবীদের মনোনয়ন দেবে।
অপর দিকে প্রার্থী বাছাইয়ের পাশাপাশি একাদশ নির্বাচনকে ঘিরে ঘর ঘুছাতে শুরু করছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে তারা সংগঠনের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করা, নিজেদের মধ্যে বিভেদ মেটানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে জেলায় জেলায় কর্মী সমাবেশ করছে দলটি। আর যেসব জেলায় বিরোধ আছে, সেখানে বিরোধ মেটানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কোথাও কোথাও আলাপ-আলোচনা মাধ্যমে বিরোধ মেটানো হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার দায়ে সাবেক এমপি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহাজান জুয়েল, উত্তর জেলার সদস্য সচিব কাজী হাসানকে দলের সব প্রকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমকে সতর্ক করে দেয়া হয়ে।