৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোন মূর্তি থাকবে না : হেফাজত
১ min read
নতুন আনো নিউজ ডেস্ক: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ বলেছে, দেশে স্থাপিত সব ভাস্কর্যই ‘মূর্তি’। তাই অনতি বিলম্বে সেগুলোকে অপসারণ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্য সরিয়ে নেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর রাজধানীতে শোকরানা মিছিল থেকে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় হেফাজতের ঢাকা মহানগর শাখার আমির নূর হোসেন কাসেমী বলেন, ‘৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোন মূর্তি থাকবে না। সকল মূর্তি অপসারণ করতে হবে।’ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এই শোকরানা মিছিলের আয়োজন করে হেফাজত। গত ডিসেম্বরে সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভাস্কর্যটি বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে সরিয়ে নেয়া হয়। এটি অপসারণে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন জানিয়ে আসছিল সংগঠনটি। ১৩ দফা দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়ে রাজধানী অবরোধ করেছিল হেফাজতে ইসলাম। সেই দাবিগুলোর মধ্যে ৭ নম্বর দাবি ছিল, ‘মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা’। রোজার আগেই মুর্তি অপসারণে প্রধামন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে হেফাজত নেতা নূর হোসেন কাসেমী বলেন, ‘রমজানের আগেই মুর্তিটি সরানোয় শুকরিয়া আদায় করছি, সাথে সাথে মুর্তি সরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’ কাসেমী বলেন, ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে কোন মূর্তির সংস্কৃতি চলবে না। রাস্তার মোড়ে মোড়ে কোন মূর্তি স্থাপন করা চলবে না। দেশের সকল মূর্তিই অপসারণ করতে হবে। মূসলিম প্রধান দেশে আর যেন কোন মূর্তি স্থাপন না হয়, সে জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাই। মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর হেফাজতের সহসভাপতি আব্দুর রব ইউসুফী। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গ্রিক মূর্তি সরানোর যে কথা দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়ন করায় তাকে অভিনন্দন জানাই। এই কাজটি অনেক কঠিন ছিল, সেই কঠিন কাজটি আপনি করেছেন।’ হেফাজতে ইসলামের এই নেতা বলেন, এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ইসলামী জনতার সঙ্গে যখন সরকারের সম্পর্কের উন্নয়ন হচ্ছে, একটি মহল সেই সম্পর্ক নষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই মূর্তি যদি পূণঃস্থাপন হয় তবে তৌহিদী জনতা বসে থাকবে না।