ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা জাতির হৃদয়ে গভীর ক্ষত হয়ে থাকবে: এরদোগান

গত বছরের ১৫ জুলাইয়ের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা তুর্কি জাতির হৃদয়ে গভীর ক্ষত হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। শনিবার ইস্তাম্বুলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তুরস্কের শহীদদের আত্মীয়দের সঙ্গে এক সাক্ষাত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, ‘যে সময় আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করি যে তুরস্কের অভ্যুত্থানের দিন শেষ হয়ে গেছে; ঠিক তখনই ১৫ জুলাইয়ের দুঃখজনক ঘটনা সংগঠিত হয়। এ ঘটনা আমাদের জাতির হৃদয় ও স্মৃতিতে গভীর ক্ষত হয়ে থাকবে।’ এরদোগা্ন বলেন, ‘তুরস্ক অতীতের তুলনায় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে আরো বেশি দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করছে। এ কারণে ১৫ জুলাইয়ের বিজয় এর ওপর একটি বড় প্রভাব ফেলেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘১৫ জুলাইয়ের ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারব বলে আশা করছি এবং পুনরায় এমন ঘটনাকে আমরা কখনো অনুমোদন করব না।’ তুরস্কের গত জুলাইয়ের অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জন্য আঙ্কারায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ফেতুল্লাহকে (ফেতু) অভিযুক্ত করেছে। ওই ঘটনায় প্রায় ২০৫ জন শহীদ হন এবং প্রায় ২২০০ জন আহত হয়। তুরস্কে সন্ত্রাসী সংগঠন ফেতু, পিকেকে ও আইএসসহ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যারা নিহত হন তাদেরকে শহীদ বলা হয়। ২০১৫ সালে পিকেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান শুরু করার পর থেকে সংগঠনটিকে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে তালিকাভূক্ত করে। এর পর থেকে সংগঠনটি প্রায় ১২০০ জন তুর্কিকে হত্যা করে। এদের মধ্য শিশু, নারী, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ অনেক বেসামরিক নাগরিক রয়েছে। গত এপ্রিলে এরদোগান জানিয়েছিলেন, উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের সাত মাসের ইউরফ্রেটস শিল্ড অপারেশনে ৬৭ জন কর্মী শহীদ হয়েছে। সূত্র: আনাদুলো এজেন্সি