এএসপি মিজানুর হত্যা পরিকল্পিত, নাকি ছিনতাইকারীর কাজ?

২১ জুন দুপুরে মিরপুর বেড়িবাঁধসংলগ্ন বিরুলিয়া সেতুর কাছে রাস্তার পাশের ঝোপ থেকে মিজানুর রহমান তালুকদারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তাঁর গলায় ঝুট কাপড় প্যাঁচানো এবং গালে ও কপালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেছেন, ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশের হাইওয়ে রেঞ্জের সাভার সার্কেলের দায়িত্বরত এএসপি মিজানুর রহমান সপরিবার উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর সড়কের একটি বাসায় থাকতেন। ঘটনার দিন ভোরে সাহ্রি খেয়ে তিনি বাসা থেকে কর্মস্থল সাভারের উদ্দেশে রওনা দেন। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে বিরুলিয়া সেতুর কাছ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ বলেছিল, মিজানুরের ব্যাগে নিজের গাড়ির চাবি ও ইউনিফর্ম ছিল। তাঁর ব্যবহার করা দুটি মুঠোফোনও সেখানে পাওয়া যায়। কিন্তু তাঁর মানিব্যাগ পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় রূপনগর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে। মামলায় মিজানুর রহমানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) মামলাটি তদন্ত করছে।
যোগাযোগ করা হলে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার ছোট ভাই ও মামলার বাদী মাসুম তালুকদার বলেন, হত্যার ধরন দেখে মনে হয়, তাঁকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত কারণে তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল, এমন তথ্য তাঁর জানা নেই।
তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবি পশ্চিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, ঘটনাটি ছিনতাইকারীরা ঘটিয়েছে নাকি শত্রুতার জের ধরে ঘটেছে, তা এখনই নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
পারিবারিক সূত্র বলেছে, মিজানুর রহমান ১৯৮৯ সালে উপপরিদর্শক হিসেবে পুলিশে যোগ দেন।