একেই বলে ইসলামী শিক্ষার বাস্তব উদাহরন এমিনি এরদোগান’ । -রাকেশ রহমান (লেখক ও কলামিষ্ট )
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে ছুটে এসেছেন বিবেকের তাড়নায়, ৯ ঘণ্টা বিমান জার্নি শেষে রাত তিন টায় ল্যান্ড করেছিলেন ঢাকা বিমানবন্দরে, রেস্ট নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সকালের নাস্তা সেরেই ছুটে যান প্রাইভেট বিমানে করে কক্সবাজারে মায়ার টানে । কক্সবাজার নেমেই ছুটে যান প্রিয় মানুষগুলার খোঁজ খবর নিতে ও তাদের মুখে দুটি খাবার তুলে দিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ।
নিদ্রাহীন চোখে একটুও বিরক্তির ছাপ দেখিনি তাঁর মুখে, নেই কোন ক্লান্তির ছায়া, শরীরকে দেন নি একটু ও বিশ্রাম তারপরও থেমে থাকেন নি সেই সকাল থেকে এখন অব্দি । সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অচেনা মানুষগুলাকে আপন করে নিয়েছেন মুহুর্তের মধ্যেই, বুকে জড়িয়ে নিয়ে ভালোবাসার পরম চাঁদরে ঢেকেছেন নির্যাতিত মানুষগুলাকে । শুনেছে তাদের উপর ঘটে যাওয়া ইতিহাসের সবচেয়ে নির্মমতা, কেঁদেছেন নিজে এমন কি কাঁদিয়েছেন উপস্থিত সকলকে ।
নিজ হাতে খাদ্য তুলে দিয়েছেন অভুক্তদেরকে, হাঁসপাতালে ছুটে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন নির্যাতিত অসুস্থ মানুষগুলোর , প্রায় ৫০০০ মাইল দূর থেকে ছুটে আসার সময় নিয়ে এসেছেন ১০০০ টন ত্রান সামগ্রী, যা কিনা বিলিয়ে দেওয়া হবে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের জন্যে।
জি হ্যাঁ, আমি আর কারো কথা বলছিনা, বলছি তুরস্কের সফল নায়ক ও প্রেসিডেন্ট, মুসলিম বিশ্বের সাহসী নেতা রজব তৈয়ব এরদোগানের সহধর্মিনি এমিনি এরদোগানের কথা ।
সৎ ব্যক্তির জীবনে সৎ সহধর্মিনি মিলে, সাহসী ব্যক্তির জীবনে সাহসী স্ত্রী মিলে আজ আবারো প্রমানিত । এমিনি এরদোগান আজ সেটাই করে দেখিয়েছেন যা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মুসলিম নেতাদের পক্ষে করা সম্ভব হয়নি । যা কিনা বিশ্বের ২০০ কোটি মুসলমান করে দেখাতে পারেনি আজ তাই করে দেখিয়েছেন এই সাহসী ফার্স্ট লেডি।
(সংগৃহীত ফেইসবুক মেজর ডালিম)
এত কিছুর পরও মুসলিম শোষকদের জন্য শিক্ষার উদাহরন হয়ে থাকবে এই ফার্স্ট লেডি।
সারাজীবন কেউ বেঁচে থাকতে এই দুনিয়ায় আসেনি।
এই ক্ষনস্হায়ী পৃথিবীতে কেউ ইসলামের শিক্ষা বাস্তবায়ন করে দুনিয়ায় বসেই বেহেস্তের টিকিট পাকা করবে।
আবার কেউ দুদিনের দুনিয়ার জন্য অমুসলিম ও ইহুদিদের সাথে সম্পর্ক রক্ষায় অত্যাচারী মুসলিমদের দিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না।
আল্লাহ আমাদের মুসলিম দেশগুলোর শাষকদের নিজের চিন্তা থেকে বের হয়ে এসে বিশ্বে অত্যাচারী মুসলিমদের পাশে দাড়ানোর তৌফিক দান করুক আমিন।