1. admingusar@gmail.com : admingusar :
  2. crander@stand.com : :
  3. bnp786@gmail.com : editor :
  4. sylwebbd@gmail.com : mit :
  5. zia394@yahoo.com : Nurul Alam : Nurul Alam
  6. mrafiquealien@gmail.com : Rafique Ali : Rafique Ali
  7. sharuarprees@gmail.com : Sharuar : Mdg Sharuar
  8. cardgallary17@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

ডুবে যাবে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন !

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১৮

নতুন আলো নিউজ ডেস্ক :দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ডুবে যেতে আর বেশি দিন সময় লাগবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড.সুলতান আহমেদ।

তিনি বলেন, কারণ এ দ্বীপের ওপর যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন চলছে তা সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা না হয় তাহলে একদিন বিলীন হয়ে যাবে প্রবাল দ্বীপটি।

রোববার সকালে কক্সবাজার সার্কিট হাউজের হিল ডাউন সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিরল জীববৈচিত্র এবং প্রতিবেশ সংরক্ষণকল্পে পরামর্শমূলক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.সুলতান আহমেদ এসব কথা বলেন।

সূত্রমতে, ১৯৬১ সালে যে দ্বীপে ৭৫০ জন জনসংখ্যা ছিল, বর্তমানে সেখানে ৮ হাজারেরও বেশি। ৫৯০ হেক্টর আয়তনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা দ্বীপটি প্রতিনিয়ত ধারণ ক্ষমতার বাইরে লোকজনের আত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে।

আয়োজকদের মতে, যে দ্বীপে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ শ’ লোকজনের পদচারণার কথা সেখানে বিশেষ বিশেষ দিনে পর্যটকের আগমন ঘটে ১২ থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত। যার ফলে ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র, কোরাল, কেয়াবন, প্যারাবন, প্রবাল, শামুক ও ঝিনুকসহ মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক সোলায়মান হায়দার বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরিবেশ সংকটাপন্ন হবার আশংকা থেকে সরকার ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুযায়ী সেন্টমার্টিনকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন (ইসিএ) এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। তারপরও অনুমোদনহীনভাবে গড়ে ওঠেছে ১০৬টি হোটেল। তৎমধ্যে ২য় এবং ৩য় তলা বিশিষ্ট হোটেল রয়েছে ৩৯টি।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, বর্তমানে পরিবেশ অধিদফতরের প্রকল্পের আওতায় যে কার্যক্রমগুলো হবে তৎমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, দ্বীপের চারদিকে প্যারাবন ও কেয়া বন রুপন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, সমুদ্রের তলদেশ পরিষ্কার, পরিবেশবান্ধব পর্যটন ব্যবস্থা, পর্যটক ও হাজাজের সংখ্যা সীমিতকরণ ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব) ফোরকান আহমেদ বলেন, সেন্টমার্টিন ডুবতে বা ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবেনা।

তিনি বলেন, যেভাবে অবৈধ স্থাপনা হচ্ছে তার ভারেই ডুবে যাবে। দুঃখের বিষয় আইন আছে প্রয়োগ নেই। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইন প্রয়োগ শুরু হবে বলেই তিনি হুশিয়ারি দেন।

সভার সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফ হোসেন বলেন, দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপকে বাঁচিয়ে রাখা সকলের নৈতিক দায়িত্বে পড়ে। নগদ ব্যবসার কথা চিন্তা না করে সেন্টমার্টিনের সম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনকে রক্ষা করতে হলে দ্বীপটিকে নিয়মের আওতায় আনতে হবে। তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিলে দ্বীপটি রক্ষার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলো হলো রাত্রিযাপন বন্ধ, প্রবেশ পথ নির্ধারণ ও অনিয়ন্ত্রিত পর্যটক যাতায়াত বন্ধ করতে হবে।

কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের বলেন, শুধু পরিবেশ অধিদফতর একা দ্বীপটি রক্ষা করতে পারবে না। স্থানীয় প্রশাসন, বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদফতর, নৌ-মন্ত্রাণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই এক সিদ্ধান্তে এসে কাজ করলেই সবকিছুর সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস

সর্বমোট

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
সূত্র: আইইডিসিআর

সর্বশেষ

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
স্পন্সর: একতা হোস্ট
© All rights reserved © 2021 notunalonews24.com
Design and developed By Syl Service BD