1. admingusar@gmail.com : admingusar :
  2. crander@stand.com : :
  3. bnp786@gmail.com : editor :
  4. sylwebbd@gmail.com : mit :
  5. zia394@yahoo.com : Nurul Alam : Nurul Alam
  6. mrafiquealien@gmail.com : Rafique Ali : Rafique Ali
  7. sharuarprees@gmail.com : Sharuar : Mdg Sharuar
  8. cardgallary17@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

পরিবহন খাতে নৈরাজ্য , কর্তৃপক্ষের কি কোনো দায় নেই?

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৮

নতুন আলো নিউজ ডেস্ক :কারওয়ানবাজারের পান্থকুঞ্জে দুই বাসের জাঁতাকলে কলেজছাত্র রাজীব হোসেনের ডান হাত হারানোর মাত্র একদিন পর বৃহস্পতিবার নিউমার্কেট এলাকায় বিকাশ পরিবহনের দুটি বাসের বেপরোয়া প্রতিযোগিতার শিকার হয়ে রিকশায় থাকা আয়েশা খাতুন নামে এক গৃহবধূ পঙ্গু হয়ে গেছেন।

এ ঘটনায় তার মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে গেছে। আহত হয়েছে তার সঙ্গে থাকা ৬ বছরের মেয়ে আহনাদ হোসেনও। রাজধানীর পরিবহন খাতে কী ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে, এ দুটি ঘটনাই তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

একদিনের ব্যবধানে এ দুটি দুর্ঘটনায় দুই তরুণ-তরুণীর পঙ্গু হয়ে যাওয়া আমাদের গণপরিবহন ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বেপরোয়া আচরণ এবং নীতি-মানবতাহীন হয়ে পড়ারই নজির। বস্তুত রাজধানীর বেশির ভাগ গণপরিবহনই আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কা করছে না।

‘সিটিং সার্ভিসের’ নামে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করলেও সিটের দ্বিগুণ-তিনগুণ যাত্রী বহন করছে তারা। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ করলে পরিবহন শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে যাত্রীদের হয়রানি, মারধর, এমনকি স্ট্যান্ডে নিয়ে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।

এ অবস্থায় পরিবহন কর্মীদের এসব অন্যায়-অপরাধ ও বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে জনজীবনকে হুমকির মুখে ফেলার পেছনে কর্তৃপক্ষের কি কোনো দায় নেই- এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে।

উদ্বেগের বিষয় হল, পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা এতবেশি উদ্ধত আচরণ করে থাকে যে, অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ধর্মঘট করে জনজীবনকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলতেও কোনো দ্বিধা তারা করে না। আরও আশঙ্কার বিষয়, এসব ক্ষেত্রে সরকারের আস্থাভাজন মালিক-শ্রমিক নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়ে আসছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।

পরিবহন খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষ যেন মালিক-শ্রমিক নেতাদের হাতের পুতুল হয়ে বসে আছে। তথাকথিত সিটিং সার্ভিস বাস ছাড়াও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, দূরপাল্লার বাস-ট্রাক, নদীপথের যানবাহন- কেউই জনগণের নাগরিক অধিকারের কোনো তোয়াক্কা করে না।

এমনকি সিটিং সার্ভিসের ভাড়া ঠিক করে দেয়ার জন্য গত বছর সরকার দু’মাস সময় নিলেও এখন পর্যন্ত এর কোনো সুরাহা করেনি। ফলে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা যা খুশি তা-ই করে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে।

প্রশ্ন হল, গণপরিবহন কি মানুষকে সেবা দেয়ার একটি খাত, নাকি এটি মানুষের জানমাল জিম্মি করে টাকা কামানোর মাধ্যম? পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে এ প্রশ্ন তোলা অসঙ্গত নয়। বিসিএস দিয়ে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখা রাজীবের স্বপ্নভঙ্গ এবং সুখী সংসারের মধ্যমণি আয়েশাকে পঙ্গু করে তাদের জীবন হুমকির মুখে ফেলার দায় কি কোনোভাবে এড়াতে পারবে নিয়ন্ত্রক থেকে শুরু করে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা?

দুটি ঘটনায় চার বাসের তিন চালককে গ্রেফতার করা গেছে, এটি ইতিবাচক। তবে তারা যেন কোনোভাবেই আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি বাসগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে উপযুক্ত জরিমানা আদায় করতে হবে। আহতদের চিকিৎসা ব্যয়সহ সব খরচ বহনের দায়ভার তাদেরই বহন করতে হবে।

এসব নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে, অন্যথায় নয়। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে দায়িত্বশীল মহল দ্রুত মনোযোগী হবে, এটাই কাম্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস

সর্বমোট

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
সূত্র: আইইডিসিআর

সর্বশেষ

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
স্পন্সর: একতা হোস্ট
© All rights reserved © 2021 notunalonews24.com
Design and developed By Syl Service BD