নতুনআলো অনলাইন ডেস্ক: সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের চার গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচল সড়কের উন্নয়ন নেই। সুনামগঞ্জ-সাচনা সড়ক থেকে অমৃতশ্রী, উমেদশ্রী, কামারটুক ও হরিনগরমুখী একটি ভাঙাচোরা সড়কে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করছেন গ্রামগুলোর ২০ হাজার মানুষ। সড়কের উমেদশ্রী গ্রামের পাশের রক্তি নদীর সংযুক্ত খালের উপর রয়েছে একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন হালকা মালবাহী যান ও যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করছে। ছোট-খাটো দুর্ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। বড় দুর্ঘটনার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর উপর দিয়ে প্রতিদিন সিএনজি, অটোরিক্সা, সাধারণ রিক্সা ও মোটর সাইকেল চলাচল করে থাকে। চলাচল করে মালবাহী ট্রলিও। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করছে চার গ্রামের ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ, রোগী, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়ক ও সেতু সংস্কারের আশ্বাস দিয়েও কোনো কাজ করেননি। সংস্কার কাজ না হওয়ায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেতুটিও। সেতুর রেলিং নেই, সেতুর উপর বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, সেতুর উপর উঠানামার দুই পাশেও একাধিক গর্ত রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুর সংস্কার কাজ না হওয়ায় সেতুর রেলিং ভেঙে পড়েছে। সেতুর উপরও আছে অনেক গর্ত। এই রেলিংবিহীন সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন।
উমেদশ্রী গ্রামের মো. রহমত আলী (৬০), হোসেন আলী (৫৫), রফিকুল ইসলাম (৩৫) বলেন, ‘আমরা ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি এই সেতুটি। কিন্তু কোনোদিন সেতুর সংস্কার কাজ হয়নি। এই কারণে দিনে দিনে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমন আশংকা আমাদের।’
একই গ্রামের শিক্ষার্থী মোশারফ হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন এলাকার কয়েশ’ শিক্ষার্থী এই সেতু দিয়ে আসা যাওয়া করে। বিভিন্ন যানবাহনও চলে সেতুর উপর দিয়ে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি সংস্কারের কথা শুনে আসছি গত দুই বছর ধরে। কিন্তু কেউ কাজ করেনি।’
অমৃতশ্রী গ্রামের দীপক কুমার দাস (৪০) বলেন, ‘আমাদের এলাকার চলাচলের অবহেলিত সড়ক ও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে।’
হরিনগর গ্রামের মো. আব্দুল খালেক ও কামারটুক গ্রামের মো. আব্দুর রউফ বলেন, ‘দুই বছর আগে থেকে শুনে আসছি কাজ হবে। শুধু শুনছিই। কাজ আর হয় না।’
এলজিইডি’র সদর উপজেলার প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা উমেদশ্রী এলাকার সেতু নির্মাণের টেন্ডার করেছি। ঠিকাদার নিয়োগ হয়েছে। পানি কমে গেলে কাজ শুরু হবে। সেতু নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই এলাকার ৪ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের ৪ কি.মিটার সড়কের জন্য এখনও কোনো বরাদ্দ আসেনি।’
Leave a Reply