জগন্নাথ পুর থেকে এম রেজা তালুকদার টুনু::সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় একটি প্রভাবশালী মহলের কিছু লোকজন এক দিনমুজুরকে ২ ঘন্টা যাবত গাছের সাথে বেঁধে বেদড়ক প্রহারের ঘটনা ঘটেছে। আহত দিনমজুর মিল শ্রমিকের নাম মোঃ নজমুদ্দিন (৫০)। তিনি উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের মৃত দিলকুস আলীর ছেলে। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়: নজমুদ্দিন ও সুজন মিয়া জয়কলস ইউনিয়নের নোয়াখালী বাজারস্থ বরুন রায়ের মিলে শ্রমিকের কাজ করতেন। কিছুদিন আগে নজমুদ্দিন মিল থেকে ৩ হাজার টাকা হাওলাত নেন । রবিবার বিকেলে সেই টাকার জন্য মিলের মালিকের পক্ষ হয়ে নুরপুর গ্রামের কবির মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া নজমুদ্দিনের কাছে টাকা চাইতে গেলে উবয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে সুজন মিয়া ও তার পিতা কবির উদ্দিন,ভাই নানু মিয়া,চাচাত ভাই মাহতাব উদ্দিন,রুমেল আহমদ সংঘবদ্ধ হয়ে নজমুদ্দিনকে নুরপুর গ্রামের নতুন মসজিদের সামনে একটি গাছের সাথে ২ ঘন্টা হাত-পা বেঁধে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেদড়ক পিঠানোর পাশাপাশি কিলঘুষি,লাথি মেরে মুরুতর আহত করে। তার চিৎকার শুনে গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকে ও মারধরের হুমকি দেয়।
পরে একই গ্রামের আজিজুর রহমান এগিয়ে এসে মারাত্বক আহত অবস্থায় নজমুদ্দিনকে উদ্ধার করে তাহার বাড়ীতে নিয়ে গেলে প্রতিপক্ষ সুজন মিয়া গংরা দেশীয় অস্ত্র লাটিসোটা নিয়ে নজমুদ্দিনের বাড়ীতে গিয়ে বাড়িগরে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাঠ চালায়। এ সময় হামলাকারীরা নজমুদ্দিনের মাথায় আঘাত করলে তার মাথা ফেটে প্রচন্ড রক্তখননের পর মাঠিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তার চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে তাহার অবস্থা আশংঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান: এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply