আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে কামাল হোসেনের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। বিকেল চারটা থেকে শুরু হওয়া এ বৈঠক চলে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত।

আবদুর রব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমরা ওনার আমন্ত্রণ স্বাগতভাবে গ্রহণ করেছি। কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দল আমরা যাব।’ তিনি জানান, কামাল হোসেনসহ ১৬ জনের একটি দল সংলাপে অংশ নেবে।

বৈঠকের পর রাতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঐক্যফ্রন্টের ইতিমধ্যে ১৬ জনের নাম পাঠিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। ১৬ জন হলেন-গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, সহ-সভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ব ম মোস্তফা আমিন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

রব বলেন, জাতি এই সংলাপের দিকে তাকিয়ে আছে। আলোচনার পথ শুরু হয়েছে, চলতে থাকবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সেখানে খোলামেলা আলোচনা হবে। আগামী দিনে একটি সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। কোনো সংলাপ ব্যর্থ হয় না।

আজ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ প্রসঙ্গে জেএসডি সভাপতি বলেন, এই মামলা প্রতিহিংসামূলক। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী তিন কোটি টাকা আত্মসাৎ করবে এটা মানুষ বিশ্বাস করবে না। ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এ ছাড়া আবদুর রব জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে তাঁকে মুখপাত্র নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি ব্যতীত অন্য কেউ কথা বললে তা ঐক্যফ্রন্টের বক্তব্য বলে গৃহীত হবে না।

কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জেএসডির তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাহেদ উর রহমান, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমেদ, আ ব ম মোস্তফা আমিন, নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।