1. admingusar@gmail.com : admingusar :
  2. crander@stand.com : :
  3. bnp786@gmail.com : editor :
  4. sylwebbd@gmail.com : mit :
  5. zia394@yahoo.com : Nurul Alam : Nurul Alam
  6. mrafiquealien@gmail.com : Rafique Ali : Rafique Ali
  7. sharuarprees@gmail.com : Sharuar : Mdg Sharuar
  8. cardgallary17@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
  9. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১১ অপরাহ্ন

দিরাই উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুরের সেচপ্রকল্পে বিদ্যুত পৃষ্ঠ হয়ে ১ জনের মৃত্যু

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় সেচ কাজে ব্যবহৃত অরিক্ষিত বিদ্যুৎ লাইনে পৃষ্ট হয়ে হৃদয় দাস (১১)নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। জানা যায় সেচ প্রকল্পটির মালিক দিরাই উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান। নিহত শিশু হৃদয় দাস উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর (মনুয়াহাটি) গ্রামের গোপেন্দ্র দাসের ছেলে।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৭টায় নিয়ামতপুর গ্রামের পূর্বপাশে ভেলা নদীর পাড়ে(মরা নদী) ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার ব্যাপারে সেচ প্রকল্পের মালিক হাফিজুর রহমান ও দিরাই বিদ্যুৎ অফিস একে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। দুর্ঘটনার দায় নিতে নারাজ উভয়েই।

সরজমিনে দেখা যায় দিরাই-শাল্লা সড়কের আনন্দপুর উত্তর পাশে বিদ্যুতের খুটি থেকে নিয়ামতপুর গ্রাম হয়ে বাগড়াধরা নামক স্থানে প্রায় দুই কি.মি খোলা তারে অরক্ষিত বিদ্যুৎ লাইন বাঁশের নড়বড়ে খুটিতে সংযোগ টেনে সেচ কাজ চালানো হচ্ছে। নিয়ামতপুর গ্রামের ভেলা নদীর পাড়ে ছিড়ে পড়ে থাকা বিদ্যুৎ লাইনে পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় শিশু হৃদয়ের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শাল্লা উপজেলা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ আল মুক্তাদির হোসেন ও শাল্লা থানা পুলিশ। শাল্লা থানার এস.আই নবী হোসেন মৃতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী শেষে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, হৃদয় অন্যের বাড়িতে গরু রাখালী করতো। প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালেও গরু নিয়ে মাঠে যাচ্ছিল। যাওয়ার সময় ছিড়ে পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে পৃষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়।
নিয়ামতপুর গ্রামবাসির অভিযোগ- তিন-চার দিন আগে বিদ্যুৎ লাইনের তারটি ছিড়ে ঝুলে পড়ে থাকে। আমরা ওই সেচ প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আনন্দপুর গ্রামের আলম মিয়াকে বার বার বলার পরও সে তা কর্ণপাত করেনি।
এব্যাপারে প্রকল্পের মালিক দিরাই উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে একজন বাচ্চার মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তিনি আরো বলেন দিরাই বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী এইসব ঝুঁকিপূর্ন লাইনে বিদ্যুৎ দিয়েছে। আমি শুধু সেচ পাম্পের মালিক। আমি টাকা দেই প্রতিবছর। আবাসিক প্রকৌশলী নিজ দায়িত্বে বিদ্যুৎ লাইন দেয়।
দিরাই বিদ্যুৎ অফিসের আবাসিক প্রকৌশলী নুর মোহাম্মদ তারেক বলেন এটি একটি দুর্ঘটনা মাত্র। বহু দিন থেকে এভাবেই খোলা তারে বিদ্যুৎ সংযোগ চলছে। গ্রাহকের চাহিদা পুরণ করতে জরুরী ভিত্তিতে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে আমি দিরাই অফিসের দায়িত্ব পাওয়ার আগে এইসব ঝুঁকিপূর্ণ তারে লাইন দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন আমার সময়ে খোলা তারে কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়া হয়নি। এই দুর্ঘটনার দায় আমাদের নয়।
জানা যায় নিয়ামতপুর সেচপ্রকল্পটি ছাড়াও আনন্দপুর বাজার, হবিবপুর-নোয়াগাঁও, হবিবপুর খেয়াঘাট, শাহআরেফিনের কান্দা, আনন্দপুর খেয়াঘাট ও ভোলানগর বৈদ্যুতিক সেচপ্রকল্পগুলোও একইভাবে অরক্ষিত অবস্থায় খোলা তারে দীর্ঘদিন থেকে পরিচালনা করছেন দিরাই উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান। এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটি চার কিঃমিঃ পর্যন্ত খোলা তারে নড়েবড়ে বাঁশের খুটিতে অরক্ষিত অবস্থায় বিভিন্ন গ্রামের পাশ দিয়ে ঝুকিপূর্ণ ভাবে সংযোগ দেয়া হয়েছে। দেখা গেছে এইসব সেচপ্রকল্পের বৈদ্যুতিক সংযোগগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশ দিয়ে ও গ্রামের মধ্য দিয়ে এমনকি ছোট-বড় ডোবার উপর দিয়ে সংযোগ টানা হয়েছে। ওইসব অরক্ষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক সংযোগের কারণে ঘটতে পারে আরো বড় রকমের দুর্ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরণের আরো খবর

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস

সর্বমোট

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
সূত্র: আইইডিসিআর

সর্বশেষ

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
স্পন্সর: একতা হোস্ট
© All rights reserved © 2021 notunalonews24.com
Design and developed By Syl Service BD