অনলাইন নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস (কেভিড-১৯) সংক্রমণরোধে জারি করা প্রায় সকল বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সোমবার এক ঘোষণায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানান, সেখানে কোনো সক্রিয় করোনা সংক্রমণ নেই। দেশটি করোনামুক্ত। টানা দুই সপ্তাহ ধরে সেখানে কোনো সংক্রমণ ধরা পড়েনি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে বলা হয়, সোমবার মধ্যরাত থেকে নিউজিল্যান্ডজুড়ে করোনার বিরুদ্ধে সতর্ক ব্যবস্থা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে। অর্থাৎ, নিউজিল্যান্ডবাসীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে না আর। একইসঙ্গে জমায়েতেও থাকবে না কোনো সীমাবদ্ধতা।
তবে বন্ধ থাকবে দেশটির সীমান্ত।
আরডার্ন বলেন, দেশকে করোনামুক্ত ঘোষণার সময় তিনি খানিকটা নেচেছিলেন। তিনি আরো বলেন, আমরা অধিকতর নিরাপদ ও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছি। তবে করোনা পূর্ববর্তী জীবনে ফিরে যাওয়ার কোনো সহজ পথ নেই। এতদিন আমরা স্বাস্থ্য খাতে যে মনোনিবেশ করেছি, তা এখন আমাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে করবো।
উল্লেখ্য, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর লকডাউন পালনকারী দেশগুলোর একটি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড। করোনা মোকাবিলায় সেখানে গত ২৫শে মার্চ থেকেই লকডাউন জারি হয়। চার মাত্রা বা পর্যায়ের একটি সতর্ক ব্যবস্থা প্রণয়ন করে সরকার। পাঁচ সপ্তাহ পর গত এপ্রিলের শেষের দিকে কিছুটা শিথিল হয় বিধিনিষেধ। খাবারের দোকান ও কিছু নন-এসেনশিয়াল ব্যবসা খোলার অনুমোদন দেয়া হয়। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে আরো এক ধাপ কমিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয় সতর্ক ব্যবস্থা। অবশেষে গত ১৭ দিন ধরে কোনো সংক্রমণ ধরা না পড়ায় প্রায় সব ধরনের বিধিনিষেধ উঠিয়ে দিয়ে প্রথম পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে সতর্ক ব্যবস্থা।
নতুন নিয়মের আওতায় খুলে দেয়া হবে সব স্কুল। বিয়ে, দাফন ও গণপরিবহন চালুতে থাকবে না কোনো বিধিনিষেধ। তবে বিদেশ ফেরত নিউজিল্যান্ডবাসীদের অবশ্যই ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আরডার্ন জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে ফের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির উপাত্ত অনুসারে, সোমবার পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৫৪ জন। মারা গেছেন ২২ জন।