জননী আজ বিবস্ত্র প্রায়
আমিনা খাতুন দীপা
মায়ের স্তন্যের নিপল চুষতে চুষতে
এ -যে মাকে মেরে ফেলার এক ষড়যন্ত্র।
পাক্কা অভিনেতা এই মায়ের সন্তানেরা,
মায়ের বুকের সকল হিরার খনি,
সোনার খনি, গ্যাস, কয়লা ও পাথর
সবকিছুর বিনিময়ে আদরের সন্তানেরা,
মায়ের বুকে টাকার খনি গড়ে তুলছে।
টাকার ইমারত, টাকার পাহাড়, টাকার পর্বতশৃঙ্গ।
তাতে যতো খুন, ধর্ষণ করতে হয়,
সকল ট্রেনিং এ পাকাপোক্ত এই মায়ের সন্তানেরা।
যে মায়ের জন্য এতো যুদ্ধ!
রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিলো ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে।
বীর-বিক্রম, বীর-উত্তম, বীরাঙ্গনারা আজ নীরবে নিভৃতে ধুকে ধুকে মৃয়মান।
যে ধর্ষক পিতা মাকেও করে ধর্ষণ,
পাশা খেলায় মাকে রাখে ভিন পুরুষে বন্দক!
সেই মায়ের সন্তানেরা আর কি হবে?
টাকায় কেনা জ্ঞান দিয়ে -তো টাকার ব্যাবসাই চলে ;
চাঁদের ন্যায় রূপবতী মায়ের শেষ বস্ত্রটুকু ঐ মানচিত্র।
মাকে বস্ত্রহরণ করে কলঙ্কের কালিমা লেপন করছে গুণধর সন্তানেরা।
শুধুই ঐ টাকার জন্যে।
ভালোবাসা, মানবতা, বিবেক সবাই
আজ টাকার গোলাম।
গুটিকয়েক মানুষ যাও একটু আছে;
তারা বড়ই অসহায়।
নির্লজ্জতা যেনো আজ পশ্চিমাদের পোষাকের চাইতেও জঘন্য!
বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মায়ের অবাধ্য সন্তানেরা।
সকল স্বর্গ সুখ বিসর্জনের বিনিময়ে হয়ে উঠেছে টাকার সন্ত্রাস! সন্ত্রাস!