সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ছাতকে পাবলিক খেয়া ঘাট দিয়ে সুরমা নদী পারাপারে যাত্রী হয়রানী ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি ১২ই আগষ্ট ২০২১ইং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে দেয়া হয়েছে।
পাবলিক খেয়াঘাট সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে স্বারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন, বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী রানা, দোয়ারাবাজার সদর ইউপি চেয়ারম্যান এমএ বারী, উত্তর সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশীদ, পৌর কাউন্সিলর লিয়াকত আলী, নাজিমুল হক, আফরোজ মিয়া, মহিলা কাউন্সিলর নূরেছা বেগম, নোয়ারাই ইউপি সদস্য সাজ্জাদুর রহমান ও মছব্বির আলী। অভিযোগ থেকে জানা যায়, ছাতক শহরের পশ্চিমবাজার থেকে সুরমা নদীর উত্তর পার নোয়ারাই খেয়া ঘাট, পাবলিক খেয়া ঘাট নামে পরিচিত।
সুনামগঞ্জ জেলার বৃহত্তম খেয়াঘাট গুলোর অন্যতম এ ঘাট প্রতিবছর জেলা পরিষদ থেকে এক বছরের জন্য ইজারা দিয়ে থাকে। যুগ-যুগ ধরে এ ঘাট দিয়ে সুরমা নদীর উত্তর পার ও দোয়ারাবাজার উপজেলার শত শত মানুষ প্রতিদিন নদী পারাপার হচ্ছেন। এ বছর ইজারা গ্রহনকারী এ খেয়াঘাট সাব ইজারা দিয়ে ঘাট পরিচালনা করছেন। সাব ইজারা গ্রহনকারীরা অধিক লাভের জন্য ভাড়ার কোন তালিকা না সাটিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে যাচ্ছে। তারা ইজারা শর্ত লংঘন করে একজন যাত্রীর কাছ হতে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। প্রায় সময় ভাড়া আদায়কারীরা নারী-পুরুষ যাত্রীদের সাথে খেয়া ভাড়া নিয়ে অসৌজন্যমুলক আচরন করে থাকে। যাত্রীদের সাথে দূর্ব্যবহার করার কারনে প্রতিনিয়ত এ খেয়াঘাটে ভাড়া আদায়কারীদের সাথে যাত্রীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খেয়া ভাড়া আদায়কানরীদের এহেন আচরন, দূর্ব্যবহার, ভাড়া আদায়ে স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ নিয়ে যেকোন সময় সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার বরে জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।