চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ)::ছাতকে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকা কর্তৃক দায়েরি অভিযোগের এক সপ্তাহেও কোন সুরাহা হয়নি। ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে চরম অচলাবস্থা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার লোকজন দু’গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। যেকোন সময় ভয়াবহ সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, ছাতক সদর ইউনিয়নের রাতগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন চৌধুরির বিরুদ্ধে নানা অসদাচরণ, অশ্লীল ভাষায় গালি-গালাজসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করেছেন একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সাহেদা বেগম। গত ১মার্চ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে ৫মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান সরেজমিন ঘটনাস্থল তদন্তে আসেন। এসময় প্রধান শিক্ষক তিররাই ও মানসিনগর গ্রামের জামে মসজিদের মাইকে সকলকে স্কুলে উপস্থিত হওয়ার অনুরুধ জানান। এছাড়া প্রধান শিক্ষক নিজের অপকর্ম ঢাকতে দু’গ্রামের কতিপয় লোককে তার পক্ষে নেন। পরে তদন্ত চলাকালিন সময়ে তিররাই ও মানসিনগর গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক লোক স্কুলে উপস্থিত হন। কিন্তু তদন্তকালে বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তি মুক্তিরগাঁও ও রাতগাঁও গ্রামের ৪/৫জন লোক স্কুলে উপস্থিত হন। এসময় ম্যানেজিং কমিটির ৩সদস্য উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষকবৃন্দের সাক্ষ্য গ্রহণের একপর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনকারি সাহেদা বেগমের স্বামির বক্তব্য নেয়ার সময় সাবেক শিক্ষক আবু বকর, মানসিনগর গ্রামের আবু সুফিয়ান, আব্দুল আহাদ, আব্দুস সালাম, রইছ উদ্দিন ও তিররাই গ্রামের আসাদুল হকসহ ১০/১২জন লোক তদন্ত কাজে বিঘœ ঘটায়। এসময় আবেদনকারির স্বামির সাথে মারমূখি আচরণ করলে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত কাজ অসমাপ্ত রেখেই মোটর সাইকেলে নজি কর্মস্থলে চলে আসেন। এঘটনায় আবেদনকারি সন্তেুাষ্ট না হয়ে গত ৮মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে আরেকটি অভিযোগ দায়রে করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে এর কোন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। এব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামণা করা হচ্ছে। ##
Leave a Reply