চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ)::ছাতকে এক গণধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্টি আসামি ফয়জুল হক (৩৪)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার ১৩মার্চ সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর উপশহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার ছৈলা-আফজালাবাদ ইউপির খলাগাঁও গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার পুত্র। র্যাব সূত্রে জানায়, সন্ধ্যা ৭টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপশহর এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় হোটেল গার্ডেন ইন এর সামনের পাকা রাস্তা থেকে নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩)/৩০ধারায় সুনামগঞ্জ আদালতে দায়েরি মামলা (নং-১৩৯/১৭ইং) মূলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফয়জুল হক দীর্ঘদিনের ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামি ছিল। তার বিরুদ্ধে ছাতক থানা, সুনামগঞ্জ আদালত ও সিলেটে সন্ত্রাসিও ষ্ঠ্যাম্প জালিয়াতির একাধিক মামলা রয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাবের মেজর শওকাতুল মোনায়েম। তাকে সহযোগিতা করেন এএসপি সুজন চন্দ্র সরকার। পরে তাকে ছাতক থানায় প্রেরণ করা হয়। জানা গেছে, খলাগাঁও গ্রামের ফয়জুল হক তার গৃহপরিচারিকা হতদরিদ্র সুজিনা বেগম (১৬)কে ২০১৬সালের ৪নভেম্বর রাত ১১টায় তার বসত ঘরে প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্যে তাকে হত্যার ভয় দেখায়। এরপর থেকে ফয়জুল তাকে বিয়ে করার প্রলোভনে প্রতি রাতে সুজিনাকে ধর্ষণ করতে থাকে। এতে সে ৪মাসের গর্ভবতী হলে ফয়জুল তার বন্ধু ছমির (২৮) ও কবির (২৬) মিলে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্যে চাঁপ দিলে সে রাজি হয়নি। ফলে ২০১৭সালের ৪জুলাই সকাল ৭টায় বন্ধুদের নিয়ে ফয়জুল হক সুজিনার গর্ভের সন্তান নষ্ট করা জন্যে জোরপূর্বক ট্যাবলেট সেবন করে মৃত্যুর ভয় দেখায়। পরে ৩জন তাকে গণধর্ষণ করলে গোপনাঙ্গে রক্তরণ শুরু হয়। পরে সুজিনাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় সুজিনা বাদি হয়ে সুনামগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৩জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। ##
Leave a Reply