নিজস্ব প্রতিনিধি :সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে ভোট গ্রহণকালে উত্তর আরপিন নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাদের বখত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান গনিউল সালাদিনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সালাদিনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
তবে এসময় তিনি আহত কারও নাম-পরিচয় বলতে পারেন নি। সংঘর্ষের কারণে কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল বলেও জানান তিনি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পরে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
এদিকে– জাল ভোটের অভিযোগে সুনামগঞ্জ পৌরসভা মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে কেবি মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) দুপুর দেড়টায় ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয় বলে জানান কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসার ইনসান মিয়া। এ কেন্দ্রে মোট ১৩৯৫ জন ভোটার। এর মধ্যে ৬৬৬ জন পুরুষ ও ৭২৯ জন নারী ভোটার রয়েছেন।
এ নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।প্রার্থীরা হচ্ছেন- নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সদ্য প্রয়াত মেয়র আয়ুব বখত জগলুলের ছোট ভাই নাদের বখত। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী এবং মোবাইল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুনামগঞ্জ পৌরসভার তিনবারের নির্বাচিত পৌর চেয়ারম্যান কবি মমিনুল মউজদীনের ছোট ভাই দেওয়ান গনিউল সালাদীন।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ পৌরসভার দুইবারের নির্বাচিত মেয়র আয়ুব বখত জগলুল মৃত্যুবরণ করলে এ পদটি নির্বাচন কমিশন শূন্য ঘোষণা করে। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।
২ মার্চ তিন তরুণ প্রার্থী সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ১৩ মার্চ প্রতীক বরাদ্দ পান তারা।
Leave a Reply