নতুন আলো অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট:: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজলার সীমান্ত এলাকায় অবৈধভাবে চোরাই পথে গরু-মহিষ বাংলাদেশে নিয়ে আসছে। গত শনিবার বিকালে লালাখাল সীমান্তের বাঘছড়া এলাকায় রুহুল আমিন বাংলাদেশ সীমান্তের কাঞ্চালার কুলিপথ দিয়ে ৬টি ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশের প্রাক্কালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি ছুড়ে। বিষয়টি উপজেলাব্যাপী প্রচার হয়ে পড়লে ১৯ বিজিবি’র লালাখাল ক্যাম্প অভিযানে নামে। রাত হতে সকাল ৭টা পর্যন্ত দফায় দফায় অভিযান পরিচালনা করে ৪১টি গরু এবং ১১টি মহিষ আটক করেছে। এলাকাবাসী জানান- প্রতিদিন সন্ধ্যা হতে না হতে জৈন্তাপুর উপজেলা লালাখাল সীমান্তের জালিয়াখলা, কালিঞ্জিবাড়ী, লালাখাল সারী নদী, লালাখাল চা-বাগান, আফিফা নগর, বাড়ছড়া, মাঝের রাস্তা, তুমইর, জঙ্গিবিল, দিয়ে বাংলাদেশি চোরাকারবারিরা গরু আনার লক্ষ্যে ভারতে প্রবেশ করে। ফলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী চেরাকারবারিদের ধাওয়া করে। অনেক সময় বাধ্য হয়ে গুলি চালায়। গত ২৭শে জানুয়ারি রাতে ভারতীয় গরু আনতে গেলে বিএসএফ’র গুলি খেয়ে ভারতের উখিয়াং এলাকায় দু’জন শ্রমিক আহত হয়।
আহতরা হল জৈন্তাপুর উপজলার উত্তরকালিঞ্জী বাড়ি গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে রাসেল আহমদ এবং বাইরাখেল গ্রামের মৃত আবদুল মুতলিবের ছেলে আবদুল জলিল, ১৪ই ফেব্রুয়ারি একই ভাবে লালাখাল বাগানের বিশাল মেম্বারের সজিবকে বিএসএফ ধরে নিয়ে যায়। গত শনিবার বিকাল ৪টায় রুহুল আমিন ৬টি গরু ১৩০০ পিলারের ৩এস পিলার দিয়ে গরু প্রবেশের প্রাক্কালে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি ছুড়ে। রাতে চোরাকারবারি দলের সদস্য হরিপুরের বাসিন্দা হেলাল আহমদসহ ৪ জন চোরাকারবারি গরু মহিষ আসতে শ্রমিকদের নিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। দফায় দফায় বাংলাদেশে প্রবেশের প্রাক্কালে বিজিবি অভিযান পরিচালনা করে আটক করতে সক্ষম হয়।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা জানান- ভারতীয় চোরাকারবারিরা মদ ও মাদক সামগ্রী, নাছির বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, চা-পাতা, হরলিক্স, গাড়ির টায়ার ইত্যাদি পণ্য সামগ্রীসহ ভারতীয় গরু মহিষ আনতে ভারতে প্রবেশ করছে। যে কোনো সময় লালাখাল সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করেন। তারা আরো বলেন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি ছুড়ার বিষয়টি উপজেলা জুড়ে প্রচার হলে ১৯ বিজিবির লালাখাল বিওপি রাত হতে ভোর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ৫২টি গরু মহিষ আটক করেছেন। লালাখাল বিওপির ক্যাম্প কমান্ডার গরু-মহিষ আটকের কথা স্বীকার করে বলেন, টহল টিম সার্বক্ষণিকভাবে টহল জোরদার রেখেছে। টহল জোরদার থাকার কারণে ৫২টি গরু-মহিষ আটক করতে সক্ষম হয়েছি।