প্রেস বিজ্ঞপ্তি:: মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা- জুড়ী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বৃহত্তর সিলেটের প্রথম সারির মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ও সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম (৭৮) আর নেই। শনিবার ভোরে আমেরিকার একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি- রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে, ৪ মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে মরহুম সিরাজুল ইসলামের অবদান ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। তিনি ছিলেন একাদারে একজন মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষক ৷ তাঁর ছিল বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ইতিহাস। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বৃহত্তর সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।সিলেট বিভাগের রাজনীতির মাষ্টার নামে খ্যাত সিরাজুল ইসলাম বড়লেখা ও জুড়ী উপজেলা চয়ারম্যানও ছিলেন ১৯৮৮ সালে ৷
অত্যন্ত স্বজ্জন, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিধ এবং তৃণমুলের সর্বস্থরের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের অত্যন্ত আপনজন স্বাধীনতাত্তর বাংলাদেশে প্রথম পার্লামেন্টে বড়লেখা আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৭৯ সালে তিনি দ্বিতীয় বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৪ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বড়লেখায় তিনি পুলিশের হাতে গুলিবিদ্ধ হন।বড়লেখা ও জুড়ী এবং তার পার্শ্ববর্তি এলাকায় সালিশ বিচারের একজন মহানায়ক ছিলেন ৷উনার বাড়ির আংগিনায় কত সম্যসার সমাধান হয়েছে তার সাক্ষী প্রত্যান্ত এলাকার মানুষ ৷
মরহুম সিরাজুল ইসলাম প্রায় ১৫ বছর ধরে ইউরোপ ও আমেরিকায় সহপরিবারে জীবনযপন করছেন।বিগত তিন চার বছর পূর্বে উনি লন্ডন সফর করতে আসলে গ্রেটার বড়লেখা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ইউকে এবং গ্রেটার বড়লেখা এসোসিয়েশন ইউকে সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন উনাকে সংবর্ধনা প্রদান করে ৷
মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের হঠাৎ মৃত্যুতে তাৎক্ষণিকভাবে বড়লেখা ফাউন্ডেশন ইউকে র পক্ষ থেকে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি শাহিন ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সহ যুক্তরাজ্য বড়লেখা ফাউন্ডেশনের সকল সদস্য বৃন্দ।