এম রেজা টুনু সুনামগন্জ থেকে::সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের শক্তিরগাঁও গ্রামের রাস্তায় সবজি দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ২০জন আহত হয়েছেন। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় একটি সিএনজি ও একটি লেগুনা গাড়িসহ বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সোমবার বেলা আড়াইটায় শক্তিয়ারগাঁও গ্রামের মৃত সমর আলীর ছেলে আবুল কাশেম ও লায়েক মিয়ার ছেলে ছালেক মিয়ার মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, সোমবার বেলা আড়াইটায় শক্তিয়ারগাঁও গ্রামের লায়েক মিয়ার ছেলে ছালেক মিয়া সবজির দোকান নিয়ে গ্রামের রাস্তায় অর্থাৎ তার বাড়ির পাশে ব্যবসা করলে ঐ সময় আবুল কাশেমের ছেলে মুহিবুর রহমান খড়ের (গো-খাদ্য) টেলা গাড়ি নিয়ে বাড়ির আসার পথে কাচামাল ব্যবসায়ী ছালেক মিয়ার সাথে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে দু-পক্ষের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন ইট, পাটকেল, বল্লব সহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহতরা হলেন সমর আলীর ছেলে আবুল কাশেম (৬০), আবুল কাশেমের ছেলে মুহিবুর রহমান (২৩), মোস্তাকিম আলীর ছেলে ইজাজুল হক (২৫), ইন্তাজ আলীর ছেলে মনফর আলী (৩৫), আবুল কাশেমের ছেলে সুজাদ নুর( ১৯), লুৎফুর রহমানের ছেলে ফেরদৌস আলম (২১), মৃত সমর আলীর ছেলে মখলিছ আলী (৬৫) তার ছেলে আব্দুল কাদির (২৫) ও ছায়াদ মিয়ার ছেলে প্রতিবন্ধী জয়নুল ইসলাম (২২) মদরিছ আলীর ছেলে লায়েক মিয়া (৪৫), রূপ মিয়ার ছেলে সেলন মিয়া (৩৫), গয়াস মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়া(২০), ইসকন্দর আলীর চেলে সুহেল মিয়া (১৯), আহমদ আলীর ছেলে শিশু মিয়া (৩৫), লায়েক মিয়ার ছেলে ছালেক মিয়া (২৬), আব্দুল করিমের স্ত্রী সুলতানা বেগম (৩৪), মৃত কমর আলীর স্ত্রী শিরিয়া বেগম (৩৫)। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি কররা হয়েছে। খবর পেয়ে ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহত আবুল কাশেম জানান, লায়েক মিয়ার ছেলে ছালেক মিয়া গ্রামের চলাচলের রাস্তার উপর কাচামাল (সবজি দোকান) বসিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। ঐ সময় আমার ছেলে মুহিবুর রহমান হাওর থেকে খড় (গো-খাদ্য) টেলাগাড়ি দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসার পথে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এসময় আমার ছেলে মুহিবুর রহমান রাস্তার উপর দোকান বসানোর বিষয়টি জিজ্ঞাস করলে তাদের মধ্যে কথা কাটা কাটি ও বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আবুল কাশেম আরো জানান, সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষ শায়েক মিয়া, ছালেক মিয়া, সুজাদ মিয়া, ফজলু মিয়া, সেলন মিয়া, ফিরোজ মিয়া সহ ৮/১০জন আমার ভাই মোস্তাকিম মিয়ার বাড়িতে থাকা তার একটি লেগুনা গাড়ি ও ভাড়াটে চালিত একটি সিএনজি অটোরিক্্রাসহ বসতঘর ভাংচুর করে। এতে আমার ভাই মোস্তাকিমের নগদ টাকা সহ প্রায় ২লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে প্রতিপক্ষ ছালেক মিয়া জানান, আমার কাছ থেকে মুহিবুর রহমান বাকিতে সবজি ক্রয় করে থাকেন। আমি তার কাছে আমার পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ঘর ভাংচুর সহ নগদ টাকা নিয়ে যায়।