নতুন আলো অনলাইন ডেস্ক: ক্ষোভে ফুঁসছে যুক্তরাষ্ট্র। কারফিউ ভেঙে রাস্তায় নেমে এসেছে মানুষ। জ্বলছে আগুন। চলছে ভাঙচুর ও লুটপাট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্ষোভের আগুন এখন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
পুলিশের নির্যাতনে যুক্তরাষ্ট্র কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুকে ঘিরে বিক্ষোভের শুরু। সেই বিক্ষোভ এখন ছড়িয়ে পড়েছে লন্ডন, বার্লিন এবং টরেন্টোর মতো শহরগুলোতে। এসব শহরে রাস্তায় নেমে শত শত মানুষ বিক্ষোভ করেছে।
জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ন্যায়বিচারের দাবিতে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের কেন্দ্রস্থলে ট্রাফালগার স্কয়ারে বিক্ষোভ হয়েছে।
এছাড়া দেশটির যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। তারা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। এসময় সেখান থেকে পুলিশ পাঁচজনকে আটক করে।
এছাড়া জার্মানির বার্লিনেও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। এসময় কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা বন্ধের দাবিতে স্লোগান দেন।
কানাডার টরেন্টোতে বিক্ষোভ হয়েছে। শহরের একটি পার্ক থেকে মিছিল নিয়ে দেশটির পুলিশের সদরদপ্তরের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করেন কয়েক হাজার মানুষ।
২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বড় শহর মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে হত্যার শিকার হন জর্জ ফ্লয়েড।
তার গাড়িতে জাল নোট থাকার খবর পেয়ে তাকে পুলিশ আটক করে বলে দাবি করা হয়। এরপর তার সঙ্গে পুলিশ যা আচরণ করে তা বর্বর যুগকেও ছাড়িয়ে যায়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১০ মিনিটের ভিডিওতে দেখা গেছে, হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার। এসময় ফ্লয়েড বারবার বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিলেন। তিনি বলছিলেন, ‘প্লিজ, আমি শ্বাস নিতে পারছি না’।
নিহত ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। নিঃশ্বাস নিতে না পেরে তাকে কাতরাতে দেখা যায়। শেষপর্যন্ত শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান।
ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় চার পুলিশ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করে মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগ। এদের মধ্যে ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু চেপে ধরা ৪৪ বছর বয়সী ডেরিকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ফ্লয়েডকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৪০টি শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। বেশিরভাগ শহরে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভ করা হয়েছে। যা ব্যাপক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। খবর: রয়টার্স, বিবিসি