এম রেজা টুনু সুনামগজ প্রতিনিধি: গত কয়েকদিনের টানা অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে সুনামগঞ্জর জেলা শহরসহ তাহিরপর বিশ্বম্ভরপুর ছাতক দোয়ারাবাজার দিরাই ও শাল্লা এই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ । পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়,গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জ শহরের ষোলঘর পয়েন্টস্থ সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘন্টায় আজ শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে
জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু ছাতকে গত ২৪ ঘন্টায় ১২০ সেন্ট্রিমিটার বিপদ সীমার উপর
দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে শহরের বেশকিছু এলাকার বাসাবাড়ি সহ রাস্তাঘাট তলিয়ে
যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারন মানুষজন। জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম
সুনামগঞ্জ-বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিপুরের সড়কটি পানিয়ে তলিয়ে যাওয়ায় দুটি উপজেলার সাথে সড়ক
যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়,যেভাবে বৃষ্টিপাত
অব্যাহত রয়েছে তাতে বন্যার আশংঙ্কা থেকে জেলার প্রতিটি উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা
হয়েছে এবং বন্যায় কতহাজার পরিবার ঘরবন্দি হয়েছেন তাদের সঠিক পরিসংখ্যান এখনো জানা না গেলে
ও প্রায় লাখ মানুষ পানিবন্দি হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন মানুষজনের খাদ্য সহায়তা হিসেবে বিভিন্ন উপজেলায় ৪১০ মেট্রিক টর চাল ও নগদ ২৯
লাখ টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের হাতে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সহিবুর রহমান জানান,ইতিমধ্যে গত কয়েকদিনের টানা অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে জেলা শহর সহ কয়েকটি উপজেলার নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বণ্যার আশংঙ্কা রয়েছে বলে জানান। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ জানান,এই বৃষ্টিপাতের ফলে বিভিন্ন জায়গাতে বাসাবাড়িতে পানি ঢুকতে শুরু করেছে এজন্য প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার জন্য ইতিমধ্যে ৪১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২৯ লাখ টাকা বিভিন্ন উপজেলায় নির্বাহী অফিসারের নিকট পাঠানো হয়েছে।