এম রেজা টুনু সুনামগন্জ প্রতিনিধি: জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের নলজুর নদীর নালী খালের ওপর সরকারী সেতুতে চলাচলে বিঘœ সৃষ্টিকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের জের ধরে প্রতিপক্ষ আজাদ মিয়া পক্ষের লোকজনদের হামলায় আবু ছালেহ (২৭) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহত আবু ছালেহকে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়েছে। আহত যুবক বড় মোহাম্মদপুর গ্রামের হাজি ঠাকুর মিয়ার ছেলে। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, বড় মোহাম্মদপুর গ্রামে নলজুর নদীর নালী খালের ওপর নির্মিত সরকারি সেতু ওপর দিয়ে চলাচলকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুহিত মিয়া ও আজাদ মিয়ার মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে এক পক্ষ জনসাধারণ ও গৃহপালিত পশু চলাচলে বাধা প্রদান ও ওপর পক্ষ সেতুটি দখলে নিয়ে ষাঁড় গরু বেঁধে রেখে যাতায়াত বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে মর্মে পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছেন। আহত আবু ছালেহ পক্ষের আয়াছ মিয়া জানান, আজাদ মিয়ার সাথে সরকারী সেতু দিয়ে চলাচল সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। শনিবার সন্ধ্যায় আবু ছালেহ বাড়ি থেকে এরালিয়া বাজারে যাওয়ার পথে রাস্তায় প্রতিপক্ষ আজাদ মিয়ার নেতৃত্বে আনহার মিয়া, আখলু মিয়া, মোতাহির মিয়া, দুলু মিয়া ও লোকমান মিয়া সহ ৮/১০জন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার উপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা নগদ টাকা, স্বর্নের চেইন, মোবাইল ফোন ও ঘড়ি চিনিয়ে নিয়ে যায় বলে আবু ছালেহ জানিয়েছেন। খবর পেয়ে এস আই মির্জা সাফায়েতের নেতৃত্বে পুলিশদল ঘটনাস্থলে পৌছলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আজাদ মিয়ার পক্ষের আনহার মিয়া হামলার ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন আবু ছালেহ সাথে এরালিয়া বাজারে ফেইজবুকে বিভিন্ন পোষ্ট দেয়ার বিষয় নিয়ে তর্ক বিতর্কের ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে জগন্নাথপুর থানার এস আই মির্জা সাফায়েত জানান, শনিবার বিকেলে আমি একটি মামলার তদন্তে জন্য বড় মোহাম্মদপুর গ্রামে যাই। এরালিয়া বাজারে মারামারির ঘটনার খবরর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।