এম রেজা টুনু সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সিলেট বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের প্রধান দুই সড়কে পরিবহন বন্ধ থাকায় জগন্নাথপুর উপজেলাবাসী দুর্ভোগে পড়েছেন।
জানা যায়, জগন্নাথপুরের চার লাখ মানুষের যোগাযোগের প্রধান সড়ক হচ্ছে জগন্নাথপুর-সিলেট (জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-রশিদপুর) সড়কটি। এই সড়ক দিয়ে সিলেটের বিভাগীয় শহর ও রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াতের একমাত্র প্রধান সড়ক জগন্নাথপুর উপজেলার জনসাধারণের।
সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারহীন হয়ে পড়ায় সম্প্রতি সংস্কারের জন্য কাজ শুরু হয়। এই সড়কের জগন্নাথপুরের মিরপুর আটঘর এলাকায় বিকল্প সংযোগ সড়কের একাংশ গত ৩০ জুন ভেঙে পড়ে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গত রবিবার পর্যন্ত ওই সড়কে সিলেটের সঙ্গে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে ভেঙে যাওয়া স্থানে মেরামতের কাজ চলছে।
অপরদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে জেলা শহর সুনামগঞ্জের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মিনিবাস চলাচল।
সুনামগঞ্জ জেলার সঙ্গে জগন্নাথপুর উপজেলাবাসীর যোগাযোগের প্রধান সড়ক জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের কলকলিয়া, দাড়াখাই, বমবমি এলাকায় কয়েকটি বিকল্প সংযোগ সড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতে গত এক সপ্তাহ ধরে যাত্রীবাহী মিনিবাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। জগন্নাথপুর বাসীর প্রধান দুই সড়কে সরাসরি মিনিবাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
জগন্নাথপুরের দুই সড়ক জগন্নাথপুর-সিলেট সড়ক এবং জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন উপজেলাবাসী। এরমধ্যে বিকল্প যান হিসেবে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় যাতায়াত করতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে।
বন্যার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বন্যার পানি কিছুটা কমে যাওয়াতে আজ (সোমবার) থেকে বাস চলাচল করতে পারে। অপর দিকে জগন্নাথপুর-সিলেট সড়কের একটি বিকল্প সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়াতে গত ৬ দিন ধরে সরাসরি মিনিবাস চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে সংস্কার কাজ শেষ হলে বাস চালু হবে।
জগন্নাথপুরের এলজিইডি প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার জানান, ধসে যাওয়া সংযোগ সড়কে কাজ চলমান। আশা করছি খুবই শীঘ্রই শেষ হবে কাজ।
জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়কটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন এজন্য এবিষয়ে কিছু বলতে পারছি না।
সুনামগঞ্জের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুর সড়কের বিকল্প কয়েকটি সড়কে বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়াতে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বন্যার পানি কমে যাওয়ায় বাস চলাচল করতে পারবে।