এম রেজা টুনু সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের হায়দরপুর গ্রামের হাজী নুরুল হকের পুত্র লন্ডন প্রবাসী শুকুর আলীর লোকদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তার সৎ বোনের পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সরজমিনে হায়দরপুর গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে আলাপকালে জানাযায়, প্রায় ১৩ বছর পূর্বে লন্ডন প্রবাসী শুকুর আলী তার আপন চাচাতো ভাই জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে ছমিরুল হকের সাথে ২০০৭ সালে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক সৎ বোন হাছনা বেগমের বিবাহ দিয়ে থাকেন। বিয়ের পর লন্ডন প্রবাসী শুকুর আলীর বাড়িতে থাকা তার সৎ মা হাওয়ারুন বেগম, মানসিক প্রতিবন্ধী সৎ বোন রোকসানা কে দেখ বাল করার জন্য কেউ না থাকায় ছোট বোনের স্বামী আপন চাচাতো ভাই ছামিরুল হক কে তার পরিবারের বরন পোষনের সমস্ত খরচ বহনের আশ্বাস দিয়ে নিজ বাড়ী হায়দপুরে নিয়ে আসেন। ছমিরুল হায়দারপুর আসার পর লন্ডন প্রবাসী শুকুর আলী তার পরিবারের কোন রকম খরচ বহন না করায় বাধ্য হয়ে তার নিজ পেশা সি এন জি চালিয়ে ৩ ছেলে স্ত্রী নিয়ে কে নিয়ে কোন রকম সংসার চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু দিন যাওয়ার পর ছমিরুল হক লন্ডন প্রবাসী শুকুর আলীর নিকট পরিবারে বরন-পেষনের খরচ দাবী করলে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধের সূত্র ধরে ছমিরুল হক ও হাছনা বেগমের বিরুদ্ধে শুকুর আলী তার লোকজনের মাধ্যমে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ ও মিথ্যা মামলা সহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। এই বিরোধের জেরে বাড়িতে থাকা সৎ মা ও মানসিক প্রতিবন্ধী বোনের ভরন-পোষন বন্ধ করে দেয় লন্ডন প্রবাসী শুকুর আলী। ছমিরুল হক মানবিক দিক বিবেচনা করে বাধ্য হয়ে শাশুড়ি হাওয়ারুন বেগম ও স্ত্রীর বড় বোন মানসিক প্রতিবন্ধী রোকসানার ভরন-পোষনের দায়িত্ব নেয়। এব্যাপারে লন্ডন প্রবাসী শুকুর আলীর সৎ মা হাওয়ারু বেগম জানান, আমার স্বামীর বাড়ীতে আমি আমার মেয়ে হাছনা বেগম ও তার স্বামী ছমিরুল ও তাদের তিন ছেলে আমার মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ে রোকসানাকে নিয়ে বসবাস করে আসছি। আমার ছেলে শুকুর আলী আমার মেয়ে হাছনা বেগমের পরিবারের বরন পোষনের দায়িত্ব নিয়ে হাছনা ও তার স্বামীকে আমাদের বাড়ীতে থাকার জন্য নিয়ে আসে। এখন বরন-পোষনের কোন খরচ বহন না করে তাদেরকে বাড়ী থেকে বের করতে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে এছাড়াও শুকুর আলীর নির্দেশে তার লোকজন আমার স্বামীর ঘরের একটি কক্ষ ব্যতিত সকল কক্ষ তালা বন্ধ করে রাখার কারনে একটি রুমের মধ্যে আমরা ৭ জন মানবেতর জীবন-যাপন করছি। হায়দরপুর এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী হুশিয়ার হায়দার, কয়েছ আহমদ বাদশা জানান, লন্ডন প্রবাসী শুকুর আলী ও ছমিরুল হকের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে আমরা এলাকাবাসী এক সালীশ বৈঠকে বসি। বৈঠকে ছমিরুলকে প্রবাসী শুকুর আলী ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করা শর্তে শুকুর আলীর বাড়ী ছেড়ে ছমিরুল চলে যাওয়ার সিন্ধান্ত হয়। প্রবাসী শুকুর আলী টাকা না দেওয়ার কারনে ছমিরুল বাড়ী ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে ছমিরুলের বিরুদ্ধে অসামাজিকতার বিষয়টি মিথ্যা। ঐতিহ্যবাহি হায়দরপুর গ্রামে অসামাজিক কার্যকলাপ করার মতো সাহস কারো নেই। ছামিরুল আমাদের জানা মতে সিএনজি অটোরিক্সা চালিয়ে তার শ্বাশুড়ী সহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্ট করে জীবন যাপন করছেন। এব্যাপারে জাওয়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের এস আই সোহেল রানা বলেন, লন্ডন প্রবাসী শুকুর আলী ও তার বোন হাছনা বেগমের স্বামী ছামিরুল হকের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ছামিরুল হক প্রবাসী শুকুর আলীর বাড়ীতে অবস্থান করার কারনে বাড়ীর গাছ, বাঁশসহ বিভিন্ন জিনিস বিক্রয় করে থাকে। অবৈধ কোন কার্যকলাপ বিষয় প্রাথমিক তদন্তকালে সত্যতা পাওয়া যায় নাই।