এখানে কেবলই শুন্যতা
ঘর বারান্দা উঠোন খাখা করছে
আশপাশের প্রকৃতিও ফ্যাকাশে
কেমন যেনো মরা মরা ভাব সর্বত্র
সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাতের
নেই কোন তফাৎ
এ সবই কেবল তোমার অভাবে
তুমিহীনা পরিবর্তন এসেছে সবকিছুতে
এমনকি আমার স্বভাবেও।
একদা
তোমার পরশে
তোমার ভালবাসায়
তোমার যত্নে
রঙিন ছিলো আমার ভুবন
ছিলো
অনাবিল সুখ আমার চারিধারে
আমি ছিলাম
সুখের ভুবনের একচ্ছত্র অধিপতি
আমার রাজ চলতো সারা ভুবনজুড়ে
তোমার ভালবাসার বলে বলীয়ান ছিলাম
সারাবেলা,সবকাজে।
অথচ আজ
সবকিছু পাল্টে গেছে তোমার অনুপস্থিতিতে
কোন কিছুই নেই আমার নিয়ন্ত্রণে
এমনকি নিজের নিয়ন্ত্রণটুকুও হারিয়ে বসেছি
সময়ের ব্যবধানে প্রকৃতি সেজেছে বিরুপ
প্রতিনিয়ত উদাস করে আমায়
চরম হতাশায় ডুবে রই সারাবেলা
ফেলে আসা দিনের স্মৃতিচারণে
দু’চোখ নোনাজলে ভরে
বুকটা বেদনায় ভারী হয়
ক্লান্তি আসে দেহ মনে
চিরচেনা সবকিছু অচেনা মনে হয়
মাঝেমাঝে নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে
আমার পানে ধেয়ে আসে যেনো মৃত্যু
বেদনাভারে ক্লান্ত হৃদয়টাও
ছটফটিয়ে মৃত্যুকে করে আহ্বান
চির মুক্তির পথে ধীরে ধীরে পা বাড়াই বিধ্বস্ত এই আমি।
জীবনের এই লগ্নে
ব্যাপক অনুভব করি বেঁচে থাকার সংজ্ঞা
আনমনে খুঁজি বেঁচে থাকার মুল্য
পাল্টাতে চাই বেঁচে থাকার ধরণ
অর্জন করতে চাই বেঁচে থাকার সার্থকতা।
কবি পরিচিতি:
মোঃ নূরুল আলম
জন্মস্থান ও বর্তমান ঠিকানা- চাঁনপুর,পাটলী,জগন্নাথপুর,সুনামগঞ্জ
পেশা- ব্যবসা।