আমি নারী; আমার আগুনের ছাই জমে পাহাড়ে ফুল ফোটে;সুশোভিত করে বিশ্ব সংসার- দুঃখ শুকায় সুখের রোদে।
ভরসা হতে প্রেম খুঁজে লিখে যাবো ন্যায়ের কথা।
পাপ-অপরাধ, অভিশপ্ত ইতিহাসকে বহন করে হাজার বছরের কালিমা মুছে দিবো কলমে-
যে কলম শপথ ভঙ্গের পত্র লিখেছিল।
বঞ্চিতদের আর্তনাদ আর আনুগত্যের বাণী-
বিক্ষুব্ধ স্বরে চিৎকার করে বলে যাবো,
লোভে নিমজ্জিত চোখ ঘৃনার আগুনে পুড়িয়ে শকুনের দখল হতে ক্ষুধার্তদের আহার ছিনিয়ে আনবো;
ভরসা হতে প্রেম খুঁজে অত্বরে টুটি চেপে ধরে জনতার মিছিলে মোলাকাত করিয়ে দেবো।
কাঁদা-হাসার বিরহ জ্বালায় দুর্নিবার বাঁধ ভেঙ্গে বিক্ষোভের তাপে পুড়ে জীবন সংগ্রামের ইতিহাস গড়বো।
আমি নারী।
মিথ্যের ছায়ায় ঘন আঁধারেও প্রীতির বাঁধ বেঁধে শীতল প্রভাতের অপেক্ষায় থাকি।
পৃথিবীর খেলাঘরে আর সামাজিক রঙমহলে
পুতুল নাটকের পটভূমিতে আমি খেলায় নিরন্তর।
সুখ-শান্তি আর আনন্দে আপন খেয়ালে
বিশ্ব সংসারে বারুদ-বারুদ গন্ধ শুঁকে
আমি বিশৃঙ্খলাতে খুঁজে রেরাই শৃঙ্খলের আলো।
নিছক সুখের আশায় ভুলে যাই অসাম্যের মানচিত্র;
পথের বাঁকে জ্বলা ক্রন্দনের প্রহরে
অন্নের সন্ধানে জীর্ণ দেহ পথ খুঁজে;
সবই সময়ের নিষ্ফল আবেদন!
নির্ভীক কন্ঠে জাগাতে চাই নারী চেতনা।
কবি পরিচিতি:
ছালেহা খানম (ফেন্সি)
পিতা- আবদুল হামিদ (নসু)
লক্ষীপুর চট্টগ্রাম বাংলাদেশ।
গ্রাম থেকে প্রায় তিন বর্গমাইল দূরে অবস্থিত আা,স,ম, আবদুরব সরকারি কলেজ থেকে H S C করার পর দাম্পত্য জীবনে পা রাখি,শ্বশুরালয়ের শহর ফেনী সরকারি কলেজ থেকে B S S করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে M A করি।
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগীতায় ১৯৯৭-সালে সমরেশ মজুমদারের ” সাতকাহন”নারী ভিত্তিক উপন্যাস, ১৯৯৮-সালে রচনা প্রতিযোগিতায় শেখ “মুজিবুর রহমানের জীবনী”
মাহমুদুল হকের “নোলক”-কবিতার অভিনয়ে প্রথম এবং অন্যান্য।