তোমার ঐ দুটি চোখের পাতায় রেখো আমায়,
তোমার চোখের কাজল করে নিত্য সদায়।
আমি থাকবো তোমার সে চোখের মধ্য মনিতে,
চির সাথী হয়ে তোমার মনের দহনেতে।
একটু জায়গা দিও মোরে তোমারই অন্তরে,
সারা জীবন রব আমি তোমারি ভালোবাসার তরে।
আমি যেন ঠাঁই পাই তোমারই সেই ছোট্ট হৃদঘরে,
যেখানে আছে শুধু ভালোবাসার অম্রিত সুধা রব আমি সে স্থরে।
আমি ভালোবাসি যাকে,
রাখি ধরে মনের গভীরে থাকে।
আপন জনের ভালোবাসায় থাকে না রঙ
থাকে না দোষ থাকে না কোন লোকচুরি খেলা তবে হারাবার ভয় ,
থাকে মনের দহনে কেবল সবসময় ।
কবি পরিচিতিঃ –
———————-
বৃহত্তর সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার একজন আধুনিক লেখক ও কবি গুলশান আরা রুবী। ইতোমধ্যে তার লেখা বেশ কয়েকটি বই লন্ডনী বধূর আত্মকথা, স্মৃতির পাতা(কাব্যগ্রন্থ),অপেক্ষা,আমার মনের কথা, ভালোবাসার কমলাদীঘি (উপন্যাস),কুরুক্ষেত্রের সমাধি (মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক)এবং পারিবারিক ও নৈতিক জীবনের পরিচর্চাসহ সবগুলো বই পাঠক হৃদয়ে ব্যাপক সারা জাগিয়েছে।
বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বীরপ্রতিক কাঁকন বিবি সম্মাননা, পল্লীকবি জসিম পুরুষ্কার, পদ্ম কাব্য, কাব্যশ্রেয়সহ অনেক পুরুষ্কারে ভূষিত হয়েছেন।
কবি গুলশান আরা রুবী হবিগঞ্জ জেলার মোহনপুরে এক সম্রান্ত মুুসলিম পরিবারে ১৯৭৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহন করেন।বাবা হাজী শেখ মোঃ আব্দুর রহিম ও মাতা তৈয়ুবন্নেছার সাত সন্তানের মধ্যে ৬ষ্ঠ তিনি।
বাংলাদেশে থাকাকালীন নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নকালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ লন্ডনে বসবাস করছেন।
লন্ডনে ফাড়ি জমানোর পর পুনরায় তিনি তার পড়াশোনা শুরু করেন।পড়াশোনা শেষ করে তিনি নিজেকে সেখানে শিক্ষকতার পেশায় আত্ননিয়োগ করেন।এছাড়াও তিনি টেলিফিল্ম ও বাঙালি কমিউনিটিতে কাজ করেছেন। বিগত ১৪ বছর ধরে অবসর সময় পার করছেন এবং নিজেকে সাহিত্যের প্রতি মনোনিবেশ করে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি মানবতার সেবায় কাজ করতে পছন্দ করেন।বিভিন্ন সময়ে তিনি গরীব, দুস্থ,অসহায় মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।যতদিন তিনি বেঁচে থাকবেন ততদিন তিনি সাহিত্য এবং মানবতার সেবায় কাজ করে যেতে চান।
বাল্যকাল থেকেই বেশী বেশী বাংলা সাহিত্যের গল্প,উপান্যাস ও কবিতার বই পড়তেন।কিছু লেখার চেষ্টা করতেন।বাল্য বয়সে বিয়ে হওয়ার কারনে মাঝে লেখালেখি বন্ধ হয়ে যায়।প্রায় এক যুগের পর আবার লেখালেখি শুরু করেন।তন্মধ্যে টি তার ২১ টি প্রকাশিত হয়েছে।এবং বইগুলো পাঠক হৃদয়ে ব্যাপক সারা জাগিয়েছে।এজন্য তিনি সকল পাঠকদের কাছে চির কৃতজ্ঞ।পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের অনুপ্রেরনায়ই তার সামনে এগিয়ে যাওয়া।