1. admingusar@gmail.com : admingusar :
  2. crander@stand.com : :
  3. bnp786@gmail.com : editor :
  4. sylwebbd@gmail.com : mit :
  5. zia394@yahoo.com : Nurul Alam : Nurul Alam
  6. mrafiquealien@gmail.com : Rafique Ali : Rafique Ali
  7. sharuarprees@gmail.com : Sharuar : Mdg Sharuar
  8. cardgallary17@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

সিলেটে রায়হানের দুই মাস ২১ দিনের শিশু কে কোলে নিয়ে রায়হানের মা বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন।

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০

সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু সিলেট থেকে:সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবককে নির্যাতন করে হত্যার প্রতিবাদে সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকায় মানববন্ধন ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। এ সময় কাঁদতে কাঁদতে এসে রাস্তায় বসে পড়েন রায়হানের মা। এসময় তিনি চিৎকার করে ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন।

সোমবার (১২ অক্টোবর) বিক্ষোভের সময় তার সঙ্গে ছিলেন নিহত রায়হানের পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও স্বজনরা। রায়হানের মা আহাজারি করে বলেন, আমার ছেলে ছিনতাইকারী বা অপরাধী নয়। তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে বিনা দোষে রাতভর নির্যাতন করে হত্যা করেছে। পুলিশ মানুষের রক্ষক, কিন্তু সেই পুলিশই আজ আমার ছেলেকে হত্যা করলো। ঘুষের টাকার জন্য পুলিশ আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।

‘রায়হানের দুই মাস ২১ দিনের কন্যা সন্তান রয়েছে তাকে কোলে নিয়ে রায়হানের মা বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন’

তিনি বলেন সে বড় হলে তাকে আমি কী সান্ত্বনা দিবো, আর আমি কীভাবে এটি সহ্য করবো? মানববন্ধনে বক্তারা অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন।

এদিকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান কে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ ওঠার পর ওই ফাঁড়িতে কর্মরত চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত এবং আরও তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে তাদের প্রত্যাহার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার।

বরখাস্তরা হলেন- ফাঁড়ির ইনচার্জ ও সাবইন্সপেক্টর আকবর হোসেন ভুঁইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশীদ, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাশ ও কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া এবং প্রত্যাহারকৃতরা হলেন- এএসআই আশেক আলী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজীব হোসেন।

এর আগে রোববার (১১ অক্টোবর) ভোরে রায়হান আহমদ মারা যান। তিনি নগরের আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যা করেছে।

পরে এ ব্যাপারে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় কোনো আসামির নাম উল্লেখ না করে আসামিদের অজ্ঞাত রাখা হয়েছে।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, কে বা কারা রায়হানকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে হত্যা করেছেন। এজাহারে রায়হান বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে যে মুঠোফোন নম্বর দিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, সেই নম্বরটিও উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, “প্রতিদিনের মতো গত শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৩টার দিকে তার স্বামী রায়হান আহমদ নিজ কর্মস্থল নগরীর স্টেডিয়াম মার্কেটস্থ ডা. গোলাম কিবরিয়া ও ডা. শান্তা রাণীর চেম্বার শাহজালাল প্যাথলজি সেন্টারে যান। পরদিন রোববার (১১ অক্টোবর) ভোর ৪টা ৩৩ মিনিটে ০১৭৮৩৫৬১১১১ মোবাইল নাম্বার থেকে শাশুড়ি (রায়হানের মা সালমা বেগম)-এর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার (০১৭৮৭৫৭০৯৪৯)-এ কল দিলে সেটি রিসিভ করেন রায়হানের চাচা হাবিবুল্লাহ।

এসময় রায়হান আর্তনাদ করে বলেন, তিনি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আছেন। তাকে বাঁচাতে দ্রুত টাকা নিয়ে বন্দর ফাঁড়িতে যেতে বলেন রায়হান। এ কথা শুনে রায়হানের চাচা ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে রায়হান কোথায় জানতে চাইলে দায়িত্বরত একজন পুলিশ বলেন, সে ঘুমিয়ে গেছে। আর যে পুলিশ রায়হানকে ধরে নিয়ে এসেছেন তিনিও চলে গেছেন। এসময় হাবিবুল্লাহকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফাঁড়িতে আসার কথা বলেন ওই পুলিশ।

পুলিশের কথামতো হাবিুল্লাহ আবারও সকাল পৌনে ১০ টার দিকে ফাঁড়িতে গেলে দায়িত্বরত পুলিশ জানান, রায়হান অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে রায়হানের চাচা ওসমানী হাসপাতালে গিয়ে জরুরি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, রায়হানকে সকাল ৬ টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সকাল ৭ টা ৫০ মিনিটে তিনি মারা যান। এসময় হাবিবুল্লাহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনকে খবর দিলে তারা গিয়ে ওসমানীর মর্গে রায়হানের ক্ষত-বিক্ষত লাশ দেখতে পান।”

নিহত রায়হানের স্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, “আমার স্বামীকে কে বা কারা বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে পুলিশি হেফাজতে রেখে হাত-পায়ে আঘাত করে এবং হাতের নখ উপড়ে ফেলে। পুলিশ ফাঁড়িতে রাতভর নির্যাতনের ফলে আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন।”

Comments are closed.

এই ধরণের আরো খবর

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস

সর্বমোট

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
সূত্র: আইইডিসিআর

সর্বশেষ

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
স্পন্সর: একতা হোস্ট
© All rights reserved © 2021 notunalonews24.com
Design and developed By Syl Service BD