ডেস্ক রিপোর্ট::এবার ভাবির বিরুদ্ধে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করার অভিযোগ তুললেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। ভাবির বিরুদ্ধে তিনি নানা ধরনের চক্রান্ত করার অভিযোগও করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে বসে ফেসবুক লাইভে এসে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জা অভিযোগ করেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকে আমার ও আমার কর্মীদের ওপর যে তাণ্ডব চলছে, তা আমাদের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেবের সহধর্মিণী ইশরাতুন্নেছা কাদের পরিচালনা করছেন। তিনিই আজ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন এবং আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন।’
সন্ত্রাসীদের একটা চক্রকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তল্লাশির অভিযোগ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘তিন দিন আগে আমি ডিআইজিকে জানিয়েছি, এখানে ডিবি পুলিশ, থানার ওসির নেতৃত্বে এসপির নির্দেশে হয়রানি করছে। আমার ছেলেদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মিথ্যা মামলা করেছে। ইতিমধ্যে আমার প্রায় ২০ জন নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অথচ আমার মামলাগুলোর একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাঁদের লোকজন ঘোরাফেরা করছে।’
ফেসবুকে লাইভে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে চাপে আছেন উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘আমার অপরাধ আমি অপরাজনীতির বিরুদ্ধে বলেছি। টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। চাকরি–বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আজকে তাঁরা উঠেপড়ে লেগেছেন মন্ত্রীর (ওবায়দুল কাদের) স্ত্রী ইশরাতুন্নেছা কাদেরের নেতৃত্বে। আজকে সেখানে ঢাকা থেকে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছে জাহাঙ্গীর নামের একটা ছেলে। বিআরটিএসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন তাদের সহযোগিতা করেছে। জাহাঙ্গীর প্রশাসনকে দিয়ে এসব অনিয়ম করছেন। আপনারা এ বিষয়ে ডিজিএফআই, এনএসআই দিয়ে তদন্ত করেন।’
আদালতে খিজির হায়াত খানের স্ত্রীর মামলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কাদের মির্জা বলেন, ‘খিজির হায়াতকে অপমান করায় মামলা দিতে গেছে। আমি যদি খিজির হায়াতকে অপমান করে থাকি আল্লাহ আমার মৃত্যু করুক। অনেকে তাঁর গায়ে হাত দিতে গেছে, আমি তাঁদের বাধা দিছি। আমার দুই হাতে, পিঠে ব্যথা পেয়েছি তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে। আজকে সে আর তাঁর স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে গেছে, আমি নাকি তাঁকে মেরেছি।’
গত জানুয়ারির ভোটে দ্বিতীয় দফায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হওয়া কাদের মির্জা প্রথম আলোচনায় এসেছিলেন যে বক্তব্য দিয়ে, সেখানেও এই ভাবির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাঁর। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হলেও ভাবির সঙ্গে মিলে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংসদ তাঁর বিপক্ষে কাজ করছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সে সময়ই দলের স্থানীয় সাংসদের জনপ্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন তিনি।
এর আগে ১৪ মার্চ ফেসবুক লাইভে এসে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার জন্য বড় ভাই এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন আবদুল কাদের মির্জা।