ডেস্ক রিপোর্ট:: টানা তিন দিন ধরে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত রোগী দুই–ই বাড়ছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল আটটা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল আটটা পর্যন্ত) ৩ হাজার ৫৮৭ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আর মারা গেছেন ৩৪ জন। গত তিন মাসের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এটিই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর রেকর্ড। এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর করোনায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এ পর্যন্ত দেশে মোট ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯৫ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৮ হাজার ৭৯৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ২৯ হাজার ৮৯৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।
গতকাল বুধবার করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ২৫ জন মারা যান। একই সময় করোনায় সংক্রমিত ৩ হাজার ৫৬৭ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। আগের দিন মঙ্গলবার করোনায় ১৮ জন মারা যান এবং ৩ হাজার ৫৫৪ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।
দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে পাঁচ সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।