সৈয়দ মুহিবুর রহমান মিছলু::
মৌলভীবাজার চৌমুহনা চত্বরে সিলেট সিটি করপোরেশনের করা বাসদ সিলেট জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল, জুবায়ের চৌধুরী সুমনসহ অজ্ঞাত ৩০০ জনের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা এবং ব্যবসায়ী-আমলা তোষনের বাজেট পরিহার করে গণমুখী বাজেট বাস্তবায়নের দাবিতে বুধবার (৯ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, মৌলভীবাজার জেলার প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাসদের জেলা ফোরামের সিনিয়র সদস্য এডভোকেট মঈনুর রহমান মগনুর সভাপতিত্বে এবং জেলা সদস্য রেহনোমা রুবাইয়াৎ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল হাসান (এডভোকেট), বাসদ রাজনগর উপজেলা সংগঠক বিপ্লব মাদ্রাজি পাশী, চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক দীপংকর ঘোষ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ নন্দী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সারাদেশে যখন করোনা মহামারীতে শ্রমজীবীরা দিন দিন কাজ হারাচ্ছে, সেখানে সিলেট সিটি করপোরেশনের নিম্ন আয়ের ব্যাটারি চালিত রিকশা শ্রমিকদের একমাত্র বেচে থাকার সম্বল রিকশা আটক করে ব্যাটারি, চেইন, মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে আবার রিকশা জব্দ করার ঘটনা শ্রমজীবীদের জন্য একটি নিপিড়নমূলক ব্যবস্থা। গত ২জুন পুলিশের উপস্থিতিতে নগর ভবনের সামনে চলমান শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মচারী ও সন্ত্রাসীরা হামলা করে অর্ধশত শ্রমিককে আহত করে। সেখানে কোথা সিসিক তার এই সকল কর্মচারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে তা না করে সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বাসদ সিলেট জেলা সমন্বয়ক আবু জাফর, সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, প্রণব জ্যোতি পালসহ অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনের নামে মামলা করে। এখানে দেখাই যাচ্ছে সিসিক তার সেই সন্ত্রাসীদের রক্ষা এবং রিকশা শ্রমিকদের ওপর জুলুমের এক অধ্যায় রচনা করলো। বাসদ মৌলভীবাজার জেলা শাখা এই মিথ্যা মামলার নিন্দা জানায় এবং প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে। একইসাথে বিকল্প কর্মসংস্থান নিশ্চিত না করে ব্যাটারি চালিত রিকশা আটক বন্ধের দাবি করছি একই সাথে ব্যাটারি চালিত রিকশা বিক্রয় যদি অবৈধ না হয় তবে সেই চালানো কেন অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।
বাজেট প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, গত ৩জুন দেশের ইতিহাসে ৬ লক্ষ ৩হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বৃহৎ বাজেট সংসদে প্রস্তাব করা হলো। করোনাকালীন সময়ে সরকারের করোনা মহামারী বিবেচনায় নিয়ে কোথায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থানসহ উৎপাদন মুখী খাতে ব্যয় বরাদ্দ বৃদ্ধিতে মনোযোগ দিবে, তা না করে আগের ধারাই বাজেট প্রনয়ন করা হলো। ওপর দিকে সাধারণ জনগণের জন্য বাজেটে কিছু না থাকলেও ব্যবসায়ীদের জন্য সরকার বাজেটে বিশেষ সুযোগ তৈরি করলো। আমরা এই বাজেটকে প্রত্যাহার করে গণমুখী একটি বাজেট প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি। একইসাথে বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১৫% কর প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।