নিজস্ব প্রতিবেদক::ছাতকে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালে ও ,পুলিশের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে , পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না। থানা পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকার কারণে মামলা নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামের পরিবার। হত্যা মামলার আসামীরা ফেইইসবুক সহ বিভিন্নভাবে বাদীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের গ্রেফতারে অনীহা প্রকাশ করছে।
শুক্রবার বিকেলে নিজ বাড়ীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মোস্তফা আনোয়ার এনামের স্ত্রী শামিমা আক্তার রানা। হামলায় নিহত হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনাম পৌরসভার নোয়ারাই মহল্লার মৃত মতিন মিয়ার পুত্র। রমজানের ঈদের আগেরদিন বৃহস্পতিবার (১৩মে) ইফতারের পূর্বমূহুর্তে তার উপর হামলা চালায় চাচাতো ভাই দবির মিয়া, দবির মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম, চাচা শিহাব মিয়া সহ লোকজন। নিজ বাড়ীতেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার পরপরই হাজী মোস্তফা আনোয়ার এনামকে সিলেটের পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর ৮ দিন হাসপাতালের আইসিইউ-তে থাকার পর ২০ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ হামলার ঘটনার একদিন পর ১৫ মে মোস্তফা আনোয়ার এনামের ভাই মোস্তফা জোবায়ের বাদী হয়ে ছাতক থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাটি শেষপর্যন্ত হত্যা মামলা হিসাবে নেয়া হয়েছে।
ঘটনার দিন ১৩ মে দু’জনকে আটক করেছিল পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের হত্যামামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরপর থেকে পুলিশ কোনো আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি এবং গ্রেফতারের জন্য কোনো অভিযানও করা হয়নি। নিহত মোস্তফা আনোয়ার এনামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী ভাই মোস্তফা কামাল দেশে আসতে পারছেন না ওই ভূমি খেকো চক্রের ভয়ে। তারা এ পরিবারের সহায়সম্পদ লুট করে নিতে চায় বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।
এনাম কে হত্যাকাণ্ডের পরও হত্যাকারীরা এনামের পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে হত্যা মামলাটি যেকোনো নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত এবং হত্যাকারী দবির মিয়া, সিহাব মিয়া, লাভলী বেগম সহ অন্যান্যদের দ্রুত গ্রেফতারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মমিন চৌধুরী, ইউপি সদস্য সাজ্জাদুর রহমান, আমির আলী, গোলাম মোস্তফা, জুয়েল মিয়া, এড. আব্দুস সালা