সুজন তালুকদার:::
সুনামগঞ্জের ছাতকে গত কয়েকদিন ধরে চলা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত ও বীজতলা। সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি না নামলে নতুন বীজতলা প্রস্তুত ও জমিতে বীজ রোপন করতে কৃষকদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।

উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নেই আমন ফসলের ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন। এর মধ্যে নোয়ারাই, ইসলামপুর, কালারুকা, চরমহল্লা, ভাতগাঁও, সিংচাপইড় ও উত্তর খুরমা ইউনিয়নের আমন ক্ষেত ও বীজতলা ক্ষতি হয়েছে। চলতি মৌসুমে আমন ধানের জন্য ৬৫০ থেকে ৭০০ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়। অতিবৃষ্টির কারনে অধিকাংশ বীজতলাই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৬৮১ হেক্টর জমিতে আমন চাষের জন্য বীজতলা প্রস্তুতের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭০৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারনে ৫ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে রোপনকৃত আরো ১০ হেক্টর জমি তলিয়ে গেছে। এসব জমির রোপনকৃত চারা পানিতে পঁচে নষ্ট হয়ে যাবে বলে কৃষকরা মনে করছেন।

তবে পানি নামলে এসব জমিতে দেরীতে রোপন করা যায় এমন জাতের বীজ দিয়ে আবারো চাষাবাদ করা সম্ভব বলে জানা গেছে। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোয়েব আহমদ জানান, চলতি মৌসুমের জন্য ১৩ হাজার ৯২ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ করার লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে উফশী জাতীয় ১১ হাজার ৫৩০ হেক্টর এবং স্থানীয় ১ হাজার ৫৬২ হেক্টর। ইতিমধ্যেই উফশী জাতীয় ৪ হাজার ৩৮০ হেক্টর এবং স্থানীয় ২৩ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক হোসেন খান জানান, এখানে অতিবৃষ্টির কারনে কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখতে নাভী জাতীয় বীজ বিতরণ করা হচ্ছে।