1. bnp786@gmail.com : editor :
  2. sylwebbd@gmail.com : mit :
  3. zia394@yahoo.com : Nurul Alam : Nurul Alam
  4. mrafiquealien@gmail.com : Rafique Ali : Rafique Ali
  5. sharuarprees@gmail.com : Sharuar : Mdg Sharuar
  6. cardgallary17@gmail.com : Shohidul Islam : Shohidul Islam
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৮ অপরাহ্ন

মেয়াদোত্তীর্ণ জেলাসহ বিভিন্ন ইউনিট কমিটি পূর্ণ গঠনের নির্দেশ বিএনপি’র

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১

ডেস্ক রিপোর্ট::আন্দোলনের প্রস্তুতি মেয়াদোত্তীর্ণ থানা-পৌর-ইউনিয়নসহ সব পর্যায়ের কমিটি গঠনের কাজ দ্রুত শেষ করতে চায় বিএনপি। এজন্য সাংগঠনিক জেলাগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি । ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া জেলা কমিটির সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের দিয়ে এসব তৃণমূল কমিটি গঠনের তাগিদ দেওয়া হয়।

 

 

বিএনপির বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, বিভিন্ন জেলা ,মহানগর কমিটি নিয়ে হতাশ বিএনপি। বিশেষ করে আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বেশি চিন্তিত দলটি। তারা নির্ধারিত সময়ে থানা-উপজেলার সব পর্যায়ের কমিটি দিতে পারেনি। আবার যেসব জেলা তৃণমূল পুনর্গঠনের কাজে হাত দিয়েছে, তাদের বেশ কয়েকটির বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ পড়েছে কেন্দ্রে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ বেশ কয়েকটিতে থানা-উপজেলা-পৌরসভার কমিটি গঠনে ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

 

 

জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, করোনা মহামারির কারণে দল পুনর্গঠনের কাজ আমরা সেভাবে করতে পারিনি। তারপরও সীমিতভাবে কাজ করা হচ্ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ মহানগর কমিটিগুলো পুনর্গঠনের কাজ চলছে। পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ থানা-উপজেলা-ইউনিয়নসহ তৃণমূলের সব পর্যায়ের কমিটি দ্রুত শেষ করতে চাই। এজন্য জেলা নেতাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

 

১৭ই আগস্ট থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ধারাবাহিক ভাবে বৈঠক শুরু করেছে লক্ষ্মীপুর, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলা বাদে ৭৮ সাংগঠনিক জেলার সঙ্গে বৈঠক হবে। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা, ঢাকা জেলা ও গাজীপুর মহানগর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।

 

 

জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ বলেন, থানা-উপজেলা-পৌরসভাসহ সব পর্যায়ের কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব কমিটি ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতাদের দিয়ে করতে হবে। বিশেষ করে বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে যারা মাঠে ছিলেন, দলীয় কর্মসূচিতে নিয়মিত যাদের উপস্থিতি, ভালো সংগঠক তাদের দিয়ে কমিটি করার কথা বলা হয়েছে। যারা এলাকায় থাকেন না, দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় নন, তাদের কমিটিতে না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

 

বিএনপির নীতি নির্ধারকরা জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তৃণমূলকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে প্রতিটি জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত দেন। এই কমিটিকে তিন মাসের মেয়াদ দিলেও অনেক জেলা দুই বছরও পার করেছে। হামলা-মামলা, করোনাসহ নানা অজুহাতে কমিটির মেয়াদ বাড়িয়েছে। তারপরও কমিটি গঠনের কাজ শেষ করতে পারেনি। আর যারা কমিটি গঠনের কাজে হাত দিয়েছেন, অনেকের বিরুদ্ধে যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন না করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সব বিষয়েই অবগত রয়েছেন। তৃণমূলের কমিটি গঠনে আর্থিক সুবিধা নিয়ে কাউকে পদ দেওয়ার প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও রয়েছে।

 

 

ত্যাগীদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ নারায়ণগঞ্জসহ কয়েকটি শাখার বিরুদ্ধে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জ জেলার থানা, উপজেলা ও পৌরসভার কমিটি গঠনে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় নেতারা। খোদ জেলার সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দল পুনর্গঠন কাজে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দিয়েছেন তারা।

 

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, জেলার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে পাশ কাটিয়ে নিজের লোক দিয়ে কমিটি দিতে যাচ্ছেন সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। এজন্য নিজের মতো করে সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। যে সার্চ কমিটি কোনো থানা বা উপজেলায় না গিয়ে ঘরে বসে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব পদের জন্য নামের তালিকা করেছে। এ কারণে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 

অভিযোগে আরও বলা হয়, আড়াইহাজার উপজেলায় আহ্বায়ক হিসাবে ইউসুফ মেম্বারের নাম তালিকায় রাখা হয়েছে, যিনি রাজনীতিতে সক্রিয় নন। ১৫ বছরে তাকে কোনো দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। এমনকি দীর্ঘদিন তিনি আড়াইহাজারে থাকছেন না। মামুন মাহমুদের সুপারিশে সার্চ কমিটি তাকে আহ্বায়ক পদে নাম দিয়েছেন। এছাড়া সদস্য সচিব পদে জুয়েল নামের এক নেতার নাম দেওয়া হয়েছে; যার বিরুদ্ধে সরকারি দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে।

 

 

এছাড়া পাবনা জেলা কমিটি হওয়ার পর থেকেই নানা সমস্যা চলছে। সেখানে একই অভিযোগ রয়েছে। সাতক্ষীরায়ও কমিটি গঠনের পর থেকে তেমন কোনো কর্মকাণ্ড নেই। তৃণমূলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দ্বন্দ্বে মাদারীপুরের কমিটি বহুদিন ধরে স্থগিত। লক্ষ্মীপুর ও ফরিদপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক জেলায় বহুদিন কোনো কমিটি নেই। এ রকম হযবরল অবস্থা সব কমিটিতেই রয়েছে। শুধু নীলফামারী ও মানিকগঞ্জে আহ্বায়ক কমিটি কেন্দ্রের নির্দেশ মতো কাজ শেষ করেছে।

 

 

জানা যায়, আড়াই বছরে ৩৭টি জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে ৩৩ জেলা কমিটির নির্ধারিত মেয়াদ পার হলেও এখন পর্যন্ত সব পর্যায়ের কমিটি গঠন করতে পারেনি।

 

Comments are closed.

এই ধরণের আরো খবর

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস

সর্বমোট

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
সূত্র: আইইডিসিআর

সর্বশেষ

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
স্পন্সর: একতা হোস্ট
© All rights reserved © 2021 notunalonews24.com
Design and developed By Syl Service BD